দিঘা: দিন কয়েক আগেই সুন্দরবনের মৎসজীবীদের জালে ধরা পড়েছিল প্রায় ৮০ কেজির তেলিয়া ভোলা মাছ। ক্যানিংয়ের মাছ বাজারে ৭৮ কেজির মাছটি বিক্রি হয় ৩৭ লক্ষেরও বেশি টাকায়। এ বার একটা-দুটো নয়, একেবারে ৩৩টি তেলিয়া ভোলা উঠল দিঘার মা বাসন্তী নামের একটি ট্রলারে। এই মাছের কল্যাণে ট্রলার মালিক চঞ্চল মালিক রাতারাতি কোটিপতি বনে গিয়েছেন।
দিঘা মোহনার মাছ বাজারে সেগুলি নিয়ে আসতেই ভিড় জমান অন্যান্য মৎস্যজীবীরা। উৎসুক পর্যটকরাও খবর পেয়ে চলে আসেন। ৩৩টি মাছের ওজন প্রায় ৭৮৬ কেজি। প্রতিটির দাম গড়ে ৩ লক্ষ। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, এর আগে সাধারণত একটি-দুটি তেলিয়া ভোলা মাছ উঠত। একসঙ্গে এত মাছ শেষ কবে উঠেছে তাঁরা মনে করতে পারেননি। মাছের ওজন যত বেশি তার কেজি প্রতি দামও তত বেশি।
আরও পড়ুন: ক্যানিংয়ের মাছ বাজারে ৭৮ কেজির তেলে ভোলা ৩৭ লাখ টাকায় বিক্রি
দিঘা মোহনার আড়তদার শ্যামসুন্দর দাসের আড়তে নিয়ে যাওয়া হয় মাছগুলি। খবর ছড়িয়ে পড়তেই আড়তে আসা ব্যবসায়ী-মৎসজীবীদের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়৷ মাছ নিয়ে দরাদরিও হয়৷ শ্যামসুন্দরবাবু বলেন, ‘মাছগুলি নিলামে কেজি প্রতি প্রায় ১২ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে দাম উঠেছে প্রায় ৯৮ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪০০ টাকা।’ এই মাছের বিভিন্ন অংশ চিকিৎসা-সহ নানা কাজে ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা।
সম্প্রতি গোসাবা সোনারগাঁ থেকে একদল জেলে সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে ৭৮ কেজি ৪০০ গ্রাম ওজনের তেলিয়া ভোলা মাছ পান৷ সেই মাছ শনিবার ক্যানিং মাছ আড়তে নিয়ে আসা হয়৷ শেষ পর্যন্ত তা ৩৭ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে৷ ‘কলকাতা মেরিন নামে ফিশ’ নামে এক সংস্থা ওই মাছ কেনে৷ গোটাটাই বিদেশে রপ্তানি হবে বলে আড়ত সূত্রে খবর৷ কোনও বিরল ওজনের মাছ এত দামে এর আগে বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছিলেন আড়তদাররা।
আরও পড়ুন: করোনা, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া- ত্রিফলা সর্তকতা পুরসভায়