আলিপুরদুয়ার : বিগত ১৩ বছর ধরে চা-বাগানের স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার অগ্রগতির জন্য বিভিন্ন সামাজিক কাজ করেছেন সুসারি তিরকি। এই কাজের জন্য এবার জাতীয় পুরস্কার পাবেন সুসারি। ব্যতিক্রমী মহিলা হিসাবে চলতি মাসেই জাতীয় পুরষ্কার পাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন : স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দিয়েই স্বপ্ন সফল সৌরভের
কালচিনি চা বলয়ের বাসিন্দা সুসারি তিরকি। কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইণ্ডাস্ট্রিজ পক্ষ থেকে ওই পুরস্কারের জন্য তাঁকে মনোনীত করা হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হাওয়া ডুয়ার্স জুড়ে। কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইণ্ডাস্ট্রিজের পক্ষ থেকে প্রতি বছরই ৩টি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। এই ৩টি বিভাগ হল শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থ বিভাগ। আর এবছর শিক্ষা বিভাগে উত্তরবঙ্গের একমাত্র ব্যাতিক্রমি মহিলা হিসাবে ওই পুরষ্কার পাচ্ছেন সুসারি তিরকে। কালচিনি ব্লকের চা বলয়ের বাসিন্দা সুসারির লক্ষ্য, স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে পাঠানো, নাবালিকা মেয়েদের বিয়ে বন্ধ করা। কোথাও যদি নাবালিকা মেয়ে পাচারের ঘটনা ঘটে, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তিনি। এছাড়াও শিক্ষা প্রদান মাধ্যমে চা-বলয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিকাশের লক্ষ্যে দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর লড়াই চলছে। ওই বিষয়ে সুসারি তিরকে বলেন, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে জাতীয় পুরস্কার গ্রহন করবেন তিনি। তিনি একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে। সেই সংগঠনের সঙ্গে তিনি নিজের কাজ করে যাচ্ছেন ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বলয়ে। এখনও পর্যন্ত চা বলয়ের অনেক পরিবারের সন্তানদের তিনি স্কুলে পাঠিয়েছেন। স্কুলছুট বহু ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। শিশুশ্রম বন্ধ করতেও তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়।