কেশপুর: থানা সংলগ্ন পুলিশকর্মীদের ব্যারাকের ভেতরে এক সাব ইন্সপেক্টরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ঘটনাটি মেদিনীপুরের কেশপুর থানার পুলিশ ব্যারাকের। মৃত ওই পুলিশকর্মীর নাম সঞ্জয় চৌধুরী। সহকর্মীরা তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন তাঁকে। ‘এটি অস্বাভাবিক মৃত্যু নয়। পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে স্বামীকে।’ থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন স্ত্রী।
মৃত ওই পুলিশকর্মীর বাড়ি মেদিনীপুর শহরের কুইকোটা এলাকাতে। কিছুদিন আগেই কেশপুর থানায় পোস্টিং হয়েছিল তাঁর। এক সহকর্মী জানিয়েছেন, শনিবার সকালে সবাই নিজেদের ডিউটিতে বেরিয়ে যান। তখনই ব্যারাক ফাঁকা থাকার সুযোগে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগান সঞ্জয় চৌধুরী। একটি জিনিস আনতে অন্য এক সহকর্মীকে ব্যারাকে পাঠালে তিনি গিয়ে ওই পুলিশকর্মীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাঁর চেঁচামেচিতে সহকর্মীরা ছুটে আসেন ব্যারাকে। তখনই দেখেন ওই দৃশ্য। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান বিষয়টি আত্মহত্যা।
আরও পড়ুন: মন্ত্রীর থেকে ঘুষ নিয়ে গ্রেফতার CBI আধিকারিক
তবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মানতে চায়নি পরিবার। সঞ্জয় চৌধুরীর স্ত্রী ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের পরিবারে কোনও সমস্যা নেই। আমাদের সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল ছিল। এমন কোনও কিছু ঘটেনি যার জন্য তাঁকে আত্মহত্যা করতে হবে। আমরা নিশ্চিত তাঁকে পরিকল্পিতভাবে কেউ খুন করেছে।’ এই ঘটনায় থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী। আবেদন জানিয়েছেন সঠিক পুলিশি তদন্তের।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনের কারণে বাতিল মমতার উত্তরবঙ্গ সফর