শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের পুরুষ সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের শৌচাগার থেকে এক রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। শিলিগুড়ি থানার পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। পারিবারিক অশান্তির জেরে মানসিক অবসাদের কারণে আত্মহত্যা কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
পেটে ব্যথা নিয়ে চলতি মাসের ১৯ তারিখ শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন পেশায় নিরাপত্তারক্ষী সুরজিৎ চক্রবর্তী (৫০)। বাড়ি নিউ জলপাইগুড়ি সংলগ্ন ভোলা মোড় এলাকায়। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই এখানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মা মীরা চক্রবর্তী দেখা করতে আসলে তিনি দেখেন বেডে তাঁর ছেলে নেই। তারপরই তিনি দেখেন, বেডের নীচে রাখা রয়েছে তাঁর ছেলের দেহ। এরপরই হাসপাতালের ক্যাম্পের পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। তবে হাসপাতালের শৌচাগারে কীভাবে একজন রোগী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এবং কেনই বা হাসপাতালের কর্মীদের নজর এড়িয়ে গেল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
মৃত ব্যক্তির মা মীরা চক্রবর্তী বলেন, পেটের ব্যথা নিয়ে গত ১৯ তারিখ ভর্তি হয়। কয়েক দিনে পেটের ব্যথা কিছুটা কমেছিল। কিন্তু, আজ সকালে এসে শুনি ছেলে শৌচাগারে গলায় ফাঁস দিয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল জানি না।
আরও পড়ুন: সিঙ্গুরে সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী পুলিস
অন্যদিকে ওই হাসপাতালে থাকা অপর এক রোগীর আত্মীয় বলেন, গতকাল রাত তিনটা নাগাদ বাথরুমে গিয়ে দেখি, ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন ওই ব্যক্তি। এরপরই আয়ামাসিদের খবর দিলে তাঁরা আসেন।