কলকাতা: সব শেষ। যার জন্য এত কিছু শেষ পর্যন্ত জানা গেল সেটাই মিথ্যে। হাইকোর্টে রিপোর্ট হাতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা, বাবা।
বেলঘরিয়ার বাসিন্দা শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কয়েক মাস আগে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। করোনা আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরেও ঠাঁই মেলেনি তাঁর। ৪৮ ঘণ্টা এ হাসপাতাল সে হাসপাতাল ঘুরে মৃত্যু হয় তাঁর। এক বছর পর জানা গেল করোনাই হয়নি তাঁর।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুভ্রজিৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ২০২০ সালের ১০ জুলাই। বিশ্বজিৎ বাবুর একমাত্র ছেলে শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায় সবে মাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। বেলঘরিয়ার মিডল্যান্ড নার্সিংহোমে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। দু’ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট হাতে পায় বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছেলের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ। শুরু হয় হয়রানি। প্রথমে সাগর দত্ত হাসপাতাল সেখান থেকে পুলিশের সহায়তায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই একরাত পর কার্যত বিনা চিকিৎসায় মারা যায় ছেলে। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে আর বাড়ি ফিরতে পারলেন না বেলঘড়িয়ার চট্টোপাধ্যায় পরিবার।
এখানেই শেষ নয়। করোনার জন্য ছেলের দেহ দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বাবা মা। এরপর হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে ছেলেকে দেখতে পান তাঁরা। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেন শুভ্রজিতের বাবা মা। হাইকোর্ট সেই মামলায় ছেলের দেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়।
একবছর পর তার রিপোর্টে দেখা যায়, করোনাই হয়নি শুভ্রজিতের। ভুল রিপোর্টে চলে যেতে হয়েছিল ছেলেকে। যা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা মা। বেসরকারি হাসপাতালের চূড়ান্ত অব্যবস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: নজরে শিক্ষার ‘বিশ্বায়ন’, সিলেবাস পরিবর্তনের ভাবনা রাজ্যের