বীরভূম: দুর্গাপুজো শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে যায় কালীপুজোর প্রস্তুতি। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপান্বিতা কালীপুজো বিশেষ জাঁকজমক ভাবে পালিত হয় বীরভূমের তারাপীঠে। তারার অঙ্গেই কালীর আরাধনা করা হয় এইদিন। আর পুজোর পরই দেওয়া হয় সেই বিশেষ ভোগ ৷ কী কী আছে এই ভোগের মেনুতে? মাছ পোড়া, মাংস, মিষ্টিসহ রকমারি ভোগ।
তারাপীঠে মা তারা আরাধ্যা দেবী । তাই এখানে অন্য কোনও দেবী মূর্তি গড়ে পুজো করা হয় না । মা তারাকেই সমস্ত দেবী রূপে পুজো করা হয়ে থাকে । প্রতি বছরেই এই দিনে মা তারাকে ভোরবেলা স্নান করানো হয়। দুপুরে মা তারা রূপে এবং রাত্রে মা কালীরূপে পুজো করা হয়।
সকালে স্নানের পর বিগ্রহকে অষ্টধাতুর মুখাবরণ, মুণ্ডমালা, মুকুট, সোনার অলঙ্কার, শোলা ও ফুল মালা দিয়ে সাজানো হয়। এরপর পুজো শুরু হয় তারা মায়ের। দুপুরে দেওয়া হয় ভোগ। এই ভোগেই থাকে বিশেষত্ব। এই ভোগে থাকে, আতপ চালের ভাত, পোলাও, পাঁচ রকম তরকারি, পাঁচ রকম ভাজা। বাদ থাকে না মাছ, শোল মাছ পোড়া। সঙ্গে থাকে বলির পাঁঠার মাংস, চাটনি, পাঁচ রকম মিষ্টি, পায়েস।
আরও পড়ুন – কালীপুজোর থিম ‘বাঁশের কেল্লা’, ইতিহাস খুঁড়ে সম্প্রীতির বার্তা বসিরহাটে
এরপর আবার সন্ধ্যারতির আগে মা’কে পুনরায় ফুল মালা দিয়ে সাজানো হয়। একদিকে চণ্ডীপাঠ আর অন্যদিকে চলে পুজো। রাতের এই পুজো দেখতে নিশিরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকেন বহু মানুষ। আজ পুণ্যার্থীদের জন্য সারা রাত মন্দির খোলা থাকবে । পুজো শেষে মায়ের আরতির পর দ্বিতীয়বার ভোগ দেওয়া হয়।
আর এই দিন অমাবস্যার তিথি শুরু হতেই মা তারাকে কালীরূপে পুজো দিতে হাজির হন পুণ্যার্থীরা । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে । নিশিরাতে মা তারাকে স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে রাজবেশে সাজিয়ে কালীরূপ দান করে পুজো করা। যে পুজো দেখতে নিশিরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকেন বহু মানুষ।
আজ সারা রাত মন্দির খোলা থাকবে । তবে, করোনা সচেতনতা মেনেই পুণ্যার্থীদের মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ ।