বনগাঁ: রাজ্য বিজেপিতে ‘বিদ্রোহ’ অব্যাহত৷ পোর্ট গেস্ট হাউসে বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) বাড়িতে ফের বৈঠক৷ যে বৈঠকে উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার তিন বিধায়ক যোগ দেন৷ সেই বৈঠকের পর থেকে আবারও ‘নতুন বিদ্রোহ’ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে৷ যদিও দীর্ঘ তিন ঘণ্টা বৈঠকের পর বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়, আলোচনা হয়েছে মতুয়া (Matua Community) সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে৷ মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি সুব্রত ঠাকুর বলেন, সিএএ নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷
সূত্রের দাবি, এ দিনের বৈঠকে আগামিদিন মতুয়ারা তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। সেই আন্দোলন কীভাবে এগবে, কী কী দাবি রাখা হবে ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়৷ যে কারণে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মতুয়ারা শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে তাঁরই বাড়িতে বৈঠকে বসেন৷ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁও উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, নদিয়ার জেলার বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী-সহ শতাধিক মতুয়া।
অভিযোগ, একুশের নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা বলেছিলেন, দেশের সিএএ চালু হবে৷ একবছর পেরলেও এখনও পর্যন্ত তা কিছুই হয়নি৷ বরং, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গলাতে তেমন সুরও শোনা যাচ্ছে না৷ তাহলে কী পুরোটাই নির্বাচনে মতুয়াভোট দখলের জন্য গিমিক ছিল?-ইত্যাদি প্রশ্নও মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে উঠতে শুরু করেছে৷ তাই দাবি পূরণে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় টার্গেট৷
আরও পড়ুন-শান্তনু ঠাকুরদের বিদ্রোহে বঙ্গ বিজেপিতে ভাঙনের শঙ্কা
শনিবার শান্তনু ঠাকুরদের অভিযোগ, বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের একজন দলকে কুক্ষিগত করে রেখে দিয়েছেন। নিজের ইচ্ছে মতন দল পরিচালনা করছেন। নতুন নতুন কমিটি গঠন করেছেন। শুধুমাত্র রাজ্য কমিটিই নয়, শান্তনু ঠাকুরদের অভিযোগ, বিজেপির জেলা, ব্লক এবং বুথ স্তরের কমিটিকে নিয়েও। শীর্ষ নেতৃত্বের অপসারণ দাবি করে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের হুশিয়ারি দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুররাও। এ দিনের বৈঠকের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করল যে, ভাঙনটা কি মতুয়াদের নিয়ে শুরু হবে?