হুগলি: শ্রীরামপুরের দিল্লি রোডের ধারে উদ্ধার হওয়া মুণ্ডুহীন দেহের পরিচয় খুঁজে বের করল পুলিস৷ এরই সঙ্গে প্রকাশ্যে এল খুনের কারণ৷ শ্রীরামপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, যৌন ঈর্ষা এবং প্রতিহিংসাপরায়ণতা থেকে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে৷ মৃতের নাম শুভজ্যোতি বসু৷ অভিযোগ, সে এক বিবাহিতা মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল৷ সে কথা জানতে পারে ওই মহিলার স্বামী সুবীর৷ ঈর্ষানিত্ব সুবীর ধারালো অস্ত্র দিয়ে শুভজ্যোতির মাথা শরীর থেকে আলাদা করে দেয়৷ এই ঘটনায় জড়িত মৃতের স্ত্রী পূজা ও তার বান্ধবী শর্মিষ্ঠা৷ পুলিস তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে৷ মঙ্গলবার তাদের শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে৷
মে মাসের দুই তারিখ দিল্লি রোডের ধারে একটি পানশালার পিছনে উদ্ধার হয় এক যুবকের মুণ্ডুহীন দেহ৷ তদন্তে নেমে শ্রীরামপুর থানার পুলিস ওই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করে৷ মৃতের শরীরের ট্যাটু দেখে তাঁর পরিচয় খুঁজে বের করেন তদন্তকারীরা৷ জানা যায়, যুবকের নাম শুভজ্যোতি বসু৷ বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে৷ পরিবারের সদস্যরা শুভজ্যোতির ট্যাটু ও ঘড়ি দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন৷ এরপরই সামনে আসে খুনের কারণ৷ জানা যায়, শুভজ্যোতিকে খুনে জড়িত তাঁরই স্ত্রী পূজা ও সুবীরের স্ত্রী শর্মিষ্ঠা৷ অভিযোগ, শর্মিষ্ঠাকে কু-প্রস্তাব দিয়েছিল শুভজ্যোতি৷
পেশায় বাসচালক সুবীর স্বভাবে রগচটা৷ স্ত্রীর প্রতিও সে খুব অনুরক্ত৷ শুভজ্যোতির প্রস্তাবের ব্যাপারটা জানতে পেরে বোধবুদ্ধি লোপ পায় সুবীরের৷ পূজা ও শর্মিষ্ঠার সঙ্গে শুভজ্যোতিকে খুনের পরিকল্পনা করে সে৷ খুনের রাতে শুভজ্যোতিকে সুবীর ডেকে পাঠায় কোন্নগরের গঙ্গার ঘাটে৷ সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শুভজ্যোতির মাথা শরীর থেকে আলাদা করে দেয়৷ মুণ্ডুটি গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেয়৷ দেহটি সে নিয়ে আসে শ্রীরামপুরে৷ সেখানে একটি পানশালার পিছনে ফেলে দেয় শুভজ্যোতির দেহ৷ পুলিসের জেরায় সুবীর খুনের কথা স্বীকার করেছে৷