ডুয়ার্স : জঙ্গলের ভেতর থেকে চুরি যাচ্ছে মূল্যবান গাছ। আর এই খবর সবার প্রথম তুলে ধরে কলকাতা টিভি। খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল বন দফতর। জলপাইগুড়ি বনবিভাগের মোরাঘাট রেঞ্জের জঙ্গল থেকে দিনরাত চুরি হচ্ছে মূল্যবান শাল সেগুনের মত গাছ। গাছ কেটে নদী পথে পাচার হয়ে যাচ্ছে অন্যত্র। আর এই খবর কলকাতা টিভির পর্দায় সম্প্রচারিত হতেই সোচ্চার হন পরিবেশপ্রেমী থেকে শুরু করে ডুয়ার্সের বাসিন্দারা। কেন এই অবস্থা? কলকাতা টিভির ক্যামেরায় ধরা পড়ে নিরাপত্তার সেই ঢিলেঢালা ছবি। ওয়াচটাওয়ার থাকলেও সেগুলি ভগ্নপ্রায়, এমনকি নিরাপত্তার জন্য লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো অকেজো। সর্বোপরি এত বড় জঙ্গল পাহারা দেওয়ার মতো কর্মী নেই বন দফতরের কাছে। বন দফতরের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে একটু একটু করে সাফ হয়ে যাচ্ছে ডুয়ার্সের সবুজ। খবর সম্প্রচারিত হতেই টনক নড়েছে বনকর্তাদের।
আরও পড়ুন : ক্যামেরায় ধরা পড়ল লাভার মেঘ ভাঙা বৃষ্টির অপরূপ দৃশ্য
সূত্রের খবর, মোরাঘাট রেঞ্জের বন দফতরের যে ওয়াচ টাওয়ারগুলি আছে, সেগুলি দ্রুত মতামত করা হবে। এগুলিকে এমন ভাবে তৈরি করা হবে, যাতে বেশ কয়েক বনকর্মী সেখানে একসঙ্গে থাকতে পারে। পাশাপাশি সমগ্র জঙ্গল এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নিয়োগ করা হচ্ছে জঙ্গল পাহারা দেওয়ার জন্য অস্থায়ী কর্মী। এমনকি জঙ্গলের ভেতরে সাধারণের প্রবেশের ওপর থাকছে নিষেধাজ্ঞা। আর সেই সম্পর্কিত একাধিক বোর্ড লাগানো হচ্ছে জঙ্গলে প্রবেশের বিভিন্ন রাস্তায়। আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বন দফতরের তরফে। তাদের এই কড়া মনোভাবে খুশি ডুয়ার্সের পরিবেশপ্রেমীরা। একজন পরিবেশপ্রেমী নফসর আলি জানিয়েছেন, “ডুয়ার্সের জঙ্গলে যেভাবে কাঠ মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বেড়েছিল তাতে এই সবুজ টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে বন দফতরের ভূমিকা প্রশংসাযোগ্য। তারা যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, তাতে আমরা পরিবেশপ্রেমীরা যথেষ্ট খুশি। যারা জঙ্গলে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।”