কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কোভিড পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে স্কুল (Covid 19 school)। গত আড়াই বছরে মুখ থুবড়ে পড়েছে পঠন-পাঠন। নেটওয়ার্ক এবং স্মার্ট ফোনের সমস্যার জন্য অনলাইন ক্লাস (Online Class) করতে পারছে না অনেকেই। আবার অনেক ছাত্র-ছাত্রী পড়া ছেড়েও দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের পাশে এসে দাঁড়ালেন একটি স্কুলের শিক্ষকরা। স্কুলের বাইরে বসেই শুরু হল অফলাইন ক্লাস। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার ধলহরা হিন্দু বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
অন্যদিকে, প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মেদিনীপুর শহরে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সামনে ধরনা দেয় ডিএসও। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সংগঠনের দাবি, সব জায়গাতে মেলা, খেলা, উৎসব চলছে। তাহলে শিক্ষা ক্ষেত্রে অচলাবস্থা থাকবে কেন? অবিলম্বে প্রাথমিকে পঠন পাঠন প্রক্রিয়া শুরুর দাবি জানায় ডিএসও। এ বিষয়ে মেদিনীপুর জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিশুই বলেন, শিশুদের নিয়ে এই ধরনের আন্দোলন আইন বিরোধী।
স্কুলের বাইরে বসেই শুরু অফলাইন ক্লাস
ব্ল্যাকবোর্ড ভুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভরসা এখন স্মার্টফোন। কিন্তু শহুরের পড়ুয়াদের কাছে ‘স্মার্টফোন’ বিষয়টি যতটা সহজ, ঠিক তার উলটো পাড়া গাঁয়ের পড়ুয়াদের কাছে। কারও স্মার্টফোন নেই। আবার কারও স্মার্টফোন থাকলেও নেটওয়ার্কের সমস্যা। কারও বা আবার ফোনে নেট ভরার টাকার অভাব। সব মিলিয়ে এই সব সমস্যার কারণে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা পিছিয়ে পড়ছে। তাই সেই সমস্ত পড়ুয়ার কথা মাথায় রেখে স্কুলের বাইরেই ক্লাস শুরু করলেন শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন বাড়ি থেকে কাজ, বেতন কাঠামো পরিবর্তন নিয়ে ভাবনা কেন্দ্রের
রোজ না হলেও এক- দু’দিন ক্লাস করানো হচ্ছে। একেকদিন একেকটি ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকরা। স্কুলে না হলেও ক্লাস করতে পেরে খুশি ছাত্র-ছাত্রীরা। এই ধরনের ক্লাসে কিছুটা হলেও স্কুলের পরিবেশ ফিরে পেয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। অভিভাবকেরাও চাইছেন কোভিড বিধি মেনে এভাবেই ক্লাস চলুক। শিক্ষকদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরাও।
