শান্তিনিকেতন: শান্তিনিকেতন গণধর্ষণ ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে সোমবার ফের শান্তিনিকেতন থানায় এলেন আইজি বর্ধমান রেঞ্জ ভরতলাল মীনা। শুক্রবারও তিনি এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে।ঐদিন সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিসের এডিজি সঞ্জয় সিং, আইজি ভরতলাল মিনা, বীরভূম পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী সহ আধিকারিকেরা।
সোমবার সকালে এই ঘটনায় আরও ২জনকে গ্রেফতার করে পুলিস।তাঁরা জানায়, সোমবার সকালে পাঁড়ুই থানার বাদলোডাঙা গ্রাম থেকে দুই নাবালককে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার রাতে ওই গ্রাম থেকেই সুনীল সোরেন ও লক্ষ্মীরাম সোরেন নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার মেলা থেকে ফেরার পথে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর মোট চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ফেরার আরও ১ অভিযুক্তর খোঁজ চলছে। শান্তিনিকেতনের পুলিস সুপার জানান, ওই নাবালিকা ও তার প্রেমিকের বয়ানের ভিত্তিতে স্কেচ আঁকানো হয়। তার ভিত্তিতেই খোঁজ চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাদের।
আরও পড়ুন Santiniketan Rape: শান্তিনিকেতন গণধর্ষণ-কাণ্ডে গ্রেফতার ২, ফেরার আরও ৩ অভিযুক্তের খোঁজে পুলিস
বৃহস্পতিবার রাতে আদিবাসী ওই নাবালিকা তাঁর এক বান্ধবীর বাড়িতে আসে চড়ক পুজো দেখতে। শান্তিনিকেতন থানার আদিত্যপুরে চড়ক মেলা ছিল৷ জানা গিয়েছে, সেই মেলা থেকে ফেরার পথে প্রেমিকের কাছ থেকে ছিনিয়ে ওই নাবালিকাকে অন্ধকার নদীর তীরে তুলে নিয়ে যায় পাঁচ যুবক। এরপরেই ধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে। প্রথমে। রবিবার সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতনে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিস আটক করে পাঁচ যুবককে। যদিও ওই পাঁচ যুবক নির্দোষ দাবি করে থানার সামনে ধর্নায় বসেন গ্রামবাসীরা। পরে ওই স্কেচ মিলিয়ে পাঁড়ুই থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।