কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার পর থেকেই ক্রমশ ঘোরাল হচ্ছে পরিস্থিতি। যত দিন যাচ্ছে রাশিয়ার ক্রমাগত আক্রমণে দিশেহারা ইউক্রেন। প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয় নাগরিক আটকে রয়েছেন ইউক্রেনে। জীবন বাঁচাতে মরিয়া ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীরা। অনেকেই খাবার, জল, রান্নার গ্যাস মজুত করছেন। শুক্রবার সকাল থেকে দু’বার সাইরেন বাজানো হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কে দিন কাটছে সকলের।
ইউক্রেনের দিনাপ্রো পেট্রোভ্যাক্স ছাত্রাবাসের কয়েকশো ছাত্র-ছাত্রী জীবন বাঁচাতে মাটির তলায় গোপন আস্তানায় আশ্রয় নিয়েছেন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে শুক্রবার সকালেও চলেছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ইতিমধ্যে হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড সীমান্তে ভারতীয় বিশেষ প্রতিনিধিদল পৌঁছে গিয়েছে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারে।
এখনও পর্যন্ত দুর্গাপুর শহরের ডাক্তারি পড়তে যাওয়া তিন ছাত্রী ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। নেহা খানের পর কোকওভেন থানার রাতুড়িয়া এলাকার দুই বোন ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন। ধীরেন গঙ্গোপাধ্যায়ের যমজ মেয়ে রুমকি ও ঝুমকির ফোন বন্ধ। চিন্তায় রয়েছে পরিবার।
আরও পড়ুন- Russia Ukraine Conflict: ইউক্রেনে আটকে ডাক্তারি-ছাত্রী গোবরডাঙার স্বাগতা, ঘুম উবেছে বাবা-মায়ের
বেশ চলছিল, আচমকাই যুদ্ধ। ইউনিভার্সিটির বেসমেন্ট এখন একমাত্র মাথা গোঁজার জায়গা। শেষবারের মতো মেয়ের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ হয় শুক্রবার সকালে। তাও বেশিক্ষণ কথা বলা যায়নি। জল নেই, আলো নেই, শীতের পোশাকও নেই, টাকা শেষ, এখন কীভাবে ফিরবে দুই মেয়ে তা ভেবে উঠতে পারছেন না রুমকি-ঝুমকির মা সুনন্দা ও বাবা।
ইউক্রেনে আটকে পরা দুই ছাত্রী
একই অবস্থা সোনারপুরের বাসিন্দা আরও এক মেডিক্যাল ছাত্রের। নাম পুষ্পক স্বর্ণকার। পঞ্চম বর্ষের ছাত্র পুষ্পক। ছেলের বাড়ি ফেরা নিয়ে উদ্বেগে বাবা-মা সহ গোটা পরিবার। ২৬ তারিখে এই ছাত্রের বিমানের টিকিট করা হয়েছে। সেটা বাতিল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় এঁরা সকলেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের দিকে মুখ চেয়ে বসে রয়েছেন।
ইউক্রেনে আটকে পরা ছেলেকে নিয়ে উদ্বিগ্নে বাবা-মা