হলদিয়া: হলদিয়ায় ফের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। হলদিয়া পুরসভা ও হলদিয়া আইওসির যৌথ উদ্যোগে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের শিলান্যাসের আগেই মঞ্চ ও ফলক ভাঙার অভিযোগ উঠল দলেরই এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আজ, ২১ জানুয়ারি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের শিলান্যাসের কথা ছিল। কেউ বা কারা রাতের অন্ধকারে সেগুলি ভাঙচুর করে নষ্ট করে দিয়েছে। নষ্ট করা হয়েছে মঞ্চের সাজানো ফুলও। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই তড়িঘড়ি কোন্দল ধামাচাপা দিতে আসরে নেমে পড়ে নেতৃত্ব। তারপর তড়িঘড়ি নতুন করে ফ্লেক্স ছাপিয়ে এবং ফলক তৈরি করে অনুষ্ঠান হয়।
সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডটি হলদিয়া পুরসভার ২৯ নং ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ছে। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডলের নাম কেন নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁর অনুগামীরা। অনুষ্ঠান মঞ্চের ফ্লেক্সে ও ফলকে দেবপ্রসাদ মণ্ডলের নাম না-থাকার জন্যই কি এই ভাঙচুর, উঠেছে প্রশ্ন।
দেবপ্রসাদ মণ্ডলের বক্তব্য, সাধারণ মানুষ চেয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে আমার নাম থাকুক। সেজন্য কেউ বা কারা এইসব করেছে।
আরও পড়ুন: Basirhat News: ডাকঘরে গ্রাহকদের গচ্ছিত রাখা ৫০ লক্ষ টাকা উধাও, বিক্ষোভ বসিরহাটে
সকালে অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে দেখা গেল, মঞ্চের কাপড় ছিঁড়ে টুকরো করে ফেলা হয়েছে। ফুল দিয়ে মঞ্চ সাজিয়ে তোলা হলেও সমস্ত সাজ তছনছ করে দেওয়া হয়। এমনকী শিলান্যাসের ফলকটি পর্যন্ত খুলে আছাড় মেরে টুকরো টুকরো করে দিয়েছে কেউ বা কারা। এনিয়ে হলদিয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অভিযোগ, কাউন্সিলরের নির্দেশমতো তাঁর অনুগামীরা এই দুষ্কর্ম করে এবং অনুষ্ঠান সংলগ্ন এলাকায় তালা লাগিয়ে দেয়। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্ব বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিল। কিন্তু, শেষমেশ ঐক্যের পরিচয় দিতে নতুন করে সবকিছু করা হয়। এবার অবশ্য ওই নেতার নাম ছাপানো ফ্লেক্স লাগানো হয় মঞ্চে।
হলদিয়া শিল্পাঞ্চল তৈরির প্রথম থেকেই সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড ছিল। কিন্তু, আধুনিক ধরনের সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা নেয় পুরসভা এবং হলদিয়া রিফাইনারি। সেইমতো শুক্রবার হলদিয়া রিফাইনারির এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর পার্থ ঘোষের উপস্থিতিতে আধুনিক বাসস্ট্যান্ডের শিলান্যাস হয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান সুধাংশুশেখর মণ্ডলসহ বিশিষ্টজনেরা।