কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন রাজ্যের একাধিক জেলা। কোথাও কোথাও বাড়ছে নদীর জলস্তর। বিপর্যস্ত সাধারণ জনজীবন। আশঙ্কা করা হচ্ছে বন্যার। এর মধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়ে জল ছাড়া হচ্ছে বিভিন্ন ব্যারাজ থেকে।
আরও পড়ুন: টানা চারদিন বাড়ল অ্যাকটিভ কেস, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে শঙ্কা
বিভিন্ন জায়গার বৃষ্টিতে দামোদরের জলাধারের জল বেড়ে যাওয়ায় দুর্গাপুরের দামোদর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমান বেড়েছে। এই মুহূর্তে ১ লাখ ৩০ হাজার ৮৭৫ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে ব্যারাজ থেকে। শুক্রবার জল ছাড়ার পরিমান ছিল ৪৭ হাজার ৬০০ কিউসেক। মাইথন, পাঞ্চেত ড্যাম থেকে আরও বিপুল পরিমাণ জলরাশি ঢোকার কথা দুর্গাপুর ব্যারেজে। ফলে এই জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতেই তিন দিনের বৃষ্টিতে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়ার বেশ কিছু অঞ্চল জলমগ্ন হয়েছে। দামোদরের জল ছাড়ার পরিমান বাড়লে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: অনিল-কন্যার মুখে ‘অগ্নিকন্যা’র প্রশস্তি
শুধু দামোদর নয়, ক্রমশ বাড়ছে মুকুটমনিপুর জলাধারে জলের স্তরও। জলাধারের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার রাত ৯ টা থেকে কংসাবতী নদীপথে জল ছাড়া শুরু করে কংসাবতী কর্তৃপক্ষ। শুরুতে ৭ হাজার ৩০০ কিউসেক জল ছাড়া হলেও ধীরে ধীরে সেই মাত্রা বাড়িয়ে ১০ হাজার কিউসেক করা হয়েছে। বৃষ্টির জেরে মুকুটমনিপুর জলাধারে জলের স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল রাত্রে জলাধারে জলের লেবেল ছিল ৪৩২ ফুট। ব্যাপক হারে জলাশয়ে জল ঢুকে সেই লেবেল পৌছেছে ৪৩৫ ফুটে। জলাধারে প্রচুর পরিমানে জল প্রবেশ করছে তাই ধীরে ধীরে জল ছাড়ার মাত্রা বাড়ানোর কথা ভাবছে কংসাবতী কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর মিজোরাম পুলিশের
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জের। বুধবার রাত থেকেই অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ছে। টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলা। বিভিন্ন নদী প্লাবিত হয়ে সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বহু গ্রাম, চাষের জমি তলিয়ে গেছে জলের তলায়। ফলে, চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। একই চিত্র প্রায় সব জায়গাতেই। শুধু দামোদর কিংবা কংসাবতীই নয়, রাজ্যজুড়ে অনেক জায়গাতেই বেড়েছে জলস্তর। কোথাও বা নদ-নদীর জলস্তর বিপদসীমার মধ্য দিয়ে বইছে। এর ফলে জলাধার কিংবা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়তে হচ্ছে।