নদিয়া: সাতসকালে নদিয়ায় বড়সড় দুর্ঘটনা (Nadia Accident)। নবদ্বীপে শবদেহ সৎকারে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। ঘন কুয়াশা, অনিয়ন্ত্রিত গতি, নাকি মত্ত অবস্থায় চালক গাড়ি চালাচ্ছিল, উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন।
নদিয়ার (Nadia) ফুলবাড়ির ঘটনা।পুলিশ সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার পার মদনপুর এলাকা থেকে শিবানী মুহুরির মৃতদেহ দাহ করতে শববাহী গাড়ি করে ২৫ জনের যাত্রী নবদ্বীপ যাচ্ছিলেন। পথেই হাঁসখালি থানার ফুলবাড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়ানো একটি পাথর বোঝাই লরি এসে ধাক্কা মারে শববাহী গাড়িটিকে (Road accident)। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১২ জনের। বাকি আহতদের উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও মৃত্যু হয় আরও ৬ জনের। ইতিমধ্যেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেশ কিছুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান চিকিৎসকদের।
আরও পড়ুন : কাউন্সিলর পদে টিকিট মিলল না, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দল পাল্টে তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে
এক যাত্রী বলেন, ‘উত্তর ২৪ পরগনা থেকেই নবদ্বীপ যাচ্ছিলাম। রাস্তার পাশে একটি পাথর বোঝাই গাড়ি ছিল। সরাসরি ধাক্কা মারায় ২৫ জনের মধ্যে ১৮ মৃত্যু হয়েছে। যারা শব নিয়ে ওই গাড়িটিতে রওনা দিয়েছিলেন সেই পরিবারের মোট ৫ জন মারা গিয়েছে। একটি পাঁচ বছরের মেয়েও ছিল। সেও আর থাকল না।’
বাবা জ্যাঠাকে হারিয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় এক মেয়ে বলেন, ‘রাত ২টোর পর থেকেই আর ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি বাবার সঙ্গে। সকালে এসে জানতে পারি বাবা আর নেই। বাবাকে যেতে বারণ করার পরও বাবা গিয়েছিল। ‘
ঘটনাকে ঘির উঠছে একের পর এক প্রশ্ন। কীভাবে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই এই দুর্ঘটনা, অনুমান পুলিশের। ভোরের দিকে কুয়াশা থাকায় দেখার সমস্যা হতে পারে, সেই বিষয়টিও পুলিশ উড়িয়ে দিতে পারছে না। তবে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে। রানাঘাট থানার এসডিপিও দীপক অধিকারী বলেন, এখনও দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট নয়। তবে, তদন্ত চলছে।