সীমান্তে পাচার হওয়ার আগেই বিরল প্রজাতির পায়রা উদ্ধার। গত ১৫ দিনে প্রচুর বিরল প্রজাতির পাখি উদ্ধার হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ তারালী সীমান্তের ঘটনায় খাঁচাবন্দি ১৬টি বিরল প্রজাতির পায়রা উদ্ধার হয় যার বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। সীমান্তে পাচার হওয়ার আগে পায়রাগুলি ফেলে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। তারাই পায়রাগুলিকে উদ্ধার করে বনদফতরের হাতে তুলে দেয়। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, পায়রা গুলিকে কলকাতার চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হবে। এই পায়রাগুলি ভারতীয় সৌখিন প্রজাতির পায়রা। বিশেষত পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায়। পায়রা গুলি সোনালি, রূপালি কিংবা নীল রংয়ের হয়। উচ্চতায় এক একটি ১৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় এবং ওজনে ৩৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই পায়রা গুলি ৭ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। এই প্রজাতির পায়রাগুলি ফ্লাশ নামে পরিচিত। এদের পালক দিয়ে বিভিন্ন রকমের অলংকার তৈরি করা হয়, যা বিদেশের বাজারে অত্যন্ত মূল্যবান। এর আগে হাসনাবাদে বিরল প্রজাতির লরিস ম্যাকাও উদ্ধার হয়েছিল, তারপরে আবার উদ্ধার হল খাঁচাবন্দি পায়রা। সব মিলিয়ে বনদফতর সীমান্তে যে ভাবে কঠোর ভাবে কাজ করছে তা পাখি উদ্ধার ঘটনায় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন : টিকার আওতায় আন্তর্জাতিক বন্দিরা