রামপুরহাট: বীরভূমের রামপুরহাট কাণ্ডে প্রথম থেকেই পুলিসের ভূমিকা আতসকাচের নীচে। তৃণমূলের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর, হাতে ঘণ্টা দুয়েক সময় পেয়েছিল পুলিস। তার পরেও ভাদু শেখের বগটুই গ্রামে সে দিন রাতে কেন পুলিস মোতায়েন করা হয়নি, সে প্রশ্ন আগেই তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিসকে অন্য বিরোধী দলগুলির তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে। এমনকী রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তারাও ঘটনার পিছনে পুলিসি গাফিলতি অস্বীকার করতে পারেননি। যে কারণে ঘটনার পরদিন রামপুরহাট থানার ওসিকে ক্লোজড করে, এসডিপিওকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রামপুরহাট হিংসার তদন্ত হাতে নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত আধিকারিকরাও কিন্তু বীরভূম জেলা পুলিসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।
চব্বিশ ঘণ্টা আগেই সিবিআইয়ের হাতে রামপুরহাট কাণ্ডের তদন্তভার তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শনিবার তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু করেই, পুলিসের ভূমিকা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলে দিল। আরও স্পষ্ট করে বললে, বীরভূম জেলা পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রি্পাঠী ও অতিরিক্ত পুলিস সুপারের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে।
বগটুই গ্রামে বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হল। আট জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল। এত বড় এবং মর্মান্তিক ঘটনার পরেও কেন ঘটনাস্থলে যাননি পুলিস সুপার? অতিরিক্ত পুলিস সুপারই বা কী করছিলেন? কেন ঘটনার ১৫-১৬ ঘণ্টা বাদে তাঁরা বগটুই গ্রামে গেলেন? ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এত সময় লাগল কেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা।
আরও পড়ুন: Torn Jeans: ছেঁড়া জিনস্ পরা চলবে না, কলকাতার কলেজে পোশাক ফতোয়া
গত সোমবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে দুষ্কৃতীদের বোমা হামলায় নিহত হন বড়শালের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। সেই ঘটনার জেরে উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যায় বগটুই গ্রামে। ঘড়িতে তখন ১০টাও বাজেনি। ঘণ্টাদুয়েকের মধ্যে গ্রামের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল।
হাতে এতটা সময় পেয়েও ঘটনা সামাল দিতে তৎপর হলেন না বীরভূম জেলা পুলিসের এই দুই কর্তা, তা ভাবাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। এই প্রশ্ন মাথায় রেখেই রামপুরহাট তদন্তের জট খুলতে চাইছে সিবিআই।