রামপুরহাট: বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই হিংসাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ বুধবার স্থানীয় পুলিস-প্রশাসন এটাই জানিয়েছে৷ ধৃতদের আজই আদালতে তোলা হবে৷ মৃত উপ-প্রধান ভাদু শেখ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
রামপুরহাটে আগুনে পুড়ে আট জনের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। বিজেপি যদিও দাবি করে, মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। ১২ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এই ঘটনাকে গণহত্যা বলেও বিরোধী দলের নেতারা দাবি করেন। যদিও সরকারি ভাবে আট জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন বীরভূমের পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। এর মধ্যে সোনা ওরফে সঞ্জু শেখের পরিবারেরই সাত জন।
বুধবার বাইকে চেপে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিপিএম নেতা মহঃ সেলিম৷ তিনি পুড়ে যাওয়া বাড়ি ঘুরে দেখেন৷ ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের পুলিস-প্রশাসনের বিরুদ্ধে৷ আগুন লাগানো হচ্ছে জেনেও পুলিস ঘটনাস্থলে আসেননি বলে তাঁর অভিযোগ৷
মঙ্গলবার রাতে বগটুই গ্রামে পুড়ে মৃত ৮ জনকে সমাধিস্থ করা হয়েছে । আলাউদ্দিন শেখ নামে এক ব্যক্তি নিজেকে মৃতদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় পরিচয়ে দেহগুলি শনাক্ত করেন। তার পর জেলাশাসক ও পুলিস সুপারের উপস্থিতিতে সমাধিস্থ করা হয় মৃতদেহ। কিন্তু রাত পোহাতেই নতুন বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কারণ, আলাউদ্দিন শেখ নিজেকে মৃতদের আত্মীয় পরিচয় দিলেও তাঁকে অনেকে চেনেন না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন৷ আলাউদ্দিন শেখের সঙ্গে মৃতদের কোনও সম্পর্কই নেই। সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ শনাক্ত করা হল কীভাবে ? কেনই বা তড়িঘড়ি তা সমাধিস্থ করা হল?- ইত্যাদি একাধিক প্রশ্ন জোরাল হয়ে উঠেছে৷
আরও পড়ুন- Rampurhat Violence: ভাদুর দাদা খুনেও পুলিস কিছু করেনি, ক্ষোভ উগরে দিলেন সদ্য পুত্রহারা মা
এই ঘটনায় জল ইতিমধ্যে আদালতে গড়িয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপির লিগাল সেলের আইনজীবীরা গিয়েছেন। হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ তাঁরা দাবি করেন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিজেপি আইনজীবীদের আর্জির প্রেক্ষিতে মামলা করার সম্মতি দেয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে রামপুরহাট হিংসার তদন্ত কারানোর দাবিতেও পৃথক একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে৷