বীরভূম: আবারও বিতর্কে বীরভূম জেলা। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে মঙ্গলবার ১০ জনের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ (Rampurhat Clash) উদ্ধার হয়েছে। সোমবার রাতে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন তিনি। দুষ্কৃতীরা ভাদুকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরই গভীর রাতে গ্রামে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলে। স্থানীয়দের দাবি, অন্তত ১০টি বাড়িতে ভাংচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দমকলের কর্মীদের দাবি, দুটি বাড়িতে দশজনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও জেলা পুলিস জানিয়েছে, উদ্ধার হয়েছে সাতজনের মৃতদেহ।
উপপ্রধানের খুনের সঙ্গে এই অগ্নিকাণ্ডের কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ইতিমধ্যেই ঘটনার সিআইডি (CID) তদন্ত হবে বলে প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৈরি হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT)। সিআইডির তদন্তকারী অফিসাররা ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছেন। বগটুই গ্রামে যাচ্ছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে তৃণমূলের তিনজনের এক প্রতিনিধি দল।
কী কারণে আগুন লাগল, সে ব্যাপারে বেলা ১২টা পর্যন্ত পুলিস কিছু জানাতে পারেনি। যদিও শাসকদলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তার আগেই দাবি করেন, শট সার্কিট থেকেই টিভিতে বিস্ফোরণের ফলে তিন-চারটি বাড়িতে আগুন লাগে। তাঁর এই দাবিকে অবশ্য বিরোধীরা পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Rampurhat Clash: রামপুরহাট নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক তলব নবান্নে
রামপুরহাটের ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী নেতারা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, দশজনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। শাসকদল কথায় কথায় উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তোলেন। রামপুরহাটে কী হল? রাজ্যজুড়ে অরাজকতা চলছে। পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
২০০০ সালের ২৭ জুলাই বীরভূমেরই নানুর ব্লকে সূচপুরে ১১ জন তৃণমূল সমর্থককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। যদিও সিপিএমের অভিযোগ ছিল, নিহতরা ডাকাতি করতে এসেছিল। পরে অবশ্য তদন্তে অন্য বিষয় উঠে আসে।