রামপুরহাট: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে (Rampurhat Violence) জেরা করার জন্য মঙ্গলবার আবারও আনারুল হোসেন সহ ১৮ জনকে সিবিআইয়ের অস্থায়ী দফতরে নিয়ে আসা হল। এদিন সকালে অভিযুক্ত সকলকে প্রিজন ভ্যানে করে রামপুরহাট শহরের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অথিতিশালা পান্থশ্রীতে নিয়ে আসা হয়।
একইসঙ্গে এদিন রামপুরহাটের সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডাকা হয় মিহিলাল শেখ, শেখলাল শেখ ও এক নাবালককেও। এরপর নিহতদের পরিবারের ওই তিনজনকে গোপন জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে পেশ করা হয়।
২৪ মার্চ দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী আনারুলকে গ্রেফতার করার কথা বলেন। সেই নির্দেশের আড়াই ঘণ্টার মধ্যে আনারুলকে গ্রেফতার করে পুলিস। রাতে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতিকে তারাপীঠ থানায় রাখা হয়। শুক্রবার সকালেই সিটের আধিকারিকরা রামপুরহাট থানায় যান। গত শুক্রবার রামপুরহাট হিংসায় আনারুল হোসেনের ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
এর মধ্যেই রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ভার নেয় সিবিআই। রবিবার সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নেয় আনারুল হোসেনকে। সেদিনই রামপুরহাট থানা থেকে আনারুল হোসেনকে নিয়ে পান্থশ্রীর অস্থায়ী ক্যাম্পে যায় সিবিআই৷ প্রায় ৩ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। এরপর তাঁকে আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় রামপুরহাট থানায়।
আরও পড়ুন- Bankura BJP Leader: জামিন পেলেন ছাতনার আইসিকে বিবস্ত্র করার হুমকি দেওয়া তিন বিজেপি নেতা
এরপরেই ২৭ মার্চ বগটুই-কাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য (CBI interrogates Mihilal) তলব করে সিবিআই। কিন্তু মিহিলাল অনিবার্য কারণে ওইদিন সিবিআইয়ের ক্যাম্পে যেতে রাজি হননি। সেই কারণেই এদিন দুপুর ১১টা ৪৫ নাগাদ গোপালজোল গ্রামে এসে সিবিআইয়ের অফিসাররা গাড়িতে করে অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে যান মিহিলালকে। ওইদিন টানা পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। বিকেলে গাড়িতে করে মিহিলালকে গোপালজোল গ্রামে ফিরিয়ে দেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।