করোনার জেরে উপার্জন বন্ধ। তাই পেট চালাতে চুনোপুঁটি ধরেই চলছে অর্থ উপার্জন। এমন ছবিই ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামে । গত কয়েকদিন ধরেই নিম্নচাপের জেরে জেলায় শুরু হয়েছে অবিরাম বৃষ্টি। আর বৃষ্টির জলে খাল-বিল নদী-নালা ক্যানাল এবং চাষের জমিতে প্রচুর চুনো মাছ এসে জমা হচ্ছে । এই চুনো মাছ ধরেই লকডাউনের বাজারে সামান্য কিছু টাকা উপার্জন করছেন পূর্ব বর্ধমানের গ্রামীণ এলাকার লোকজন। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের দুই ব্লকে বন্যা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। আউসগ্রাম, ভাতাড়, বলগোনা-সহ বিভিন্ন এলাকায় জলা জমি এবং ক্যানালে জল উপচে পড়ছে।
আরও পড়ুন সুনীলকে এখন তৃণমূল কর্মীদের কাছে ‘রাবণ’
এই সমস্ত ছোট মাছকে স্মল ইন্ডিজেনাস স্পিসিস বা সংক্ষেপে এসআইএস বলা হয়। আবার এই ছোট মাছগুলি নিজেরাই পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রজনন ঘটিয়ে বংশ বিস্তার করে। সেজন্য এদের সেলফ রিক্রুটিং স্পিসিস বা সংক্ষেপে এসআরএস বলা হয়। এই জাতীয় মাছের বার বার ডিমপোনা ছাড়তে হয় না। এমন মাছের সবচেয়ে বড় উদাহরণ দেশি চুনো মাছ।
আরও পড়ুন টিকাকরণে গাফিলতি নয় : অজয়কুমার ভাল্লা
বিক্রির জন্য যেমন অনেকেই মাছ কিনছে তেমন অন্যদিকে, অনেকে আবার এই চারা মাছকে পুকুরে ছেড়ে বড় করার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। ঝাঁকি জাল , ঘুঘি জাল , খাপি জাল ও ঘুনি-সহ নানা স্থানীয় পদ্ধতিতে চুনো মাছ ধরা শুরু করেছেন বহু মানুষই । ফলে সব মিলিয়ে এটাই তাঁদের এখন মূল জীবিকা।
আরও পড়ুন ‘খিলাড়ি’র ‘দ্য এন্ড’
পাশাপাশি ছোট মাছের গুনমান সব সময়েই বেশি। একইসঙ্গে ক্রেতা বিক্রেয়া উভয় পক্ষেরই এই ধরনের ছোট মাছে বেশ লাভ। তাই এই সব মাছের চাহিদা বাজারে বেশ ভালো। ফলে রাজ্য জুড়ে কড়া বিধিনিষেধের ফলে কিছুটা অর্থ উপার্জন হচ্ছে এই ভাবেই। তাতেই দুর্যোগের মধ্যে চুনো মাছ সামান্য হলেও আয়ের পথ দেখাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন সংক্রমণ কমলেও ঢিলেমি নয়, মুখ্যসচিবদের চিঠি কেন্দ্রের