বসিরহাট: নেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, অমিল রেশন কার্ড, মিলছে না আধার কার্ড। এরকম হাজারও অভিযোগ রোজ জমা পড়ছে থানায়। বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানা এলাকার ঘটনা। এবার তাই মুশকিল আসান সেজে পুলিশ যাচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়। এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: পেগাসাস কাণ্ডে উত্তাল রাজ্যসভা, দুপুর ১টা পর্যন্ত মুলতুবি অধিবেশন
মঙ্গলবার থেকে বসিরহাটের অন্তর্গত সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা হাড়োয়া থানার পক্ষ থেকে পুলিশের ভ্রাম্যমাণ পরিষেবা চালু হলো। উপস্থিত ছিলেন হাড়োয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বাপ্পা মিত্র, অফিসার তিলক সান্যাল, কুলটি ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অনিমেষ দাঁ সহ অন্যান্য পুলিশের আধিকারিকরা। আপাতত সপ্তাহে ১ দিন সাধারণ মানুষের জন্য চলবে এই পরিষেবা। গ্রামের মধ্যে প্রতি পাড়ায় গিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ জমা নিলেন পুলিশেরা। অভিযোগ শোনার সঙ্গে সঙ্গে আইনি পরিষেবা দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই মিনাখা থানার চৈতল এলাকায়, হাড়োয়া থানার গোপালপুর এলাকায় পুলিশের এই ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্প হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিডডে মিলের খাবার থেকে অপুষ্টির শিকার ছাত্রছাত্রীরা, বলছে রিপোর্ট
এতে উপকৃত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাঁরা জানিয়েছেন, থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে হলে তাঁদের নদী পারাপার করে যেতে হয়। কারও বাড়ি থেকে থানা ৩০ কিলোমিটার, কারও বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার আবার কারওবা ৩৫ কিলোমিটার দূরে থানায় যেতে হয়। এই পরিষেবা চালু হওয়ায় একদিকে যেমন তাঁদের খরচের টাকাটা বেঁচে যাচ্ছে। অন্যদিকে সময়টাও বেঁচে যাচ্ছে। রাজ্য পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তাঁরা জানান এই ধরনের পরিষেবা পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে হোক।