পশ্চিম মেদিনীপুর: ভুয়ো পরিচয়পত্র (Fake ID) দেখিয়ে সমীক্ষা করতে এসে পুলিশের (Police) জালে দুই মহিলা সহ ৯ জন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তাদের। ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা সহ একাধিক ধারায় ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু (Case filed) করা হয়েছে। তাদের বুধবার আদালতে (Court) তোলা হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই তৎপর পুলিশ। বড়সড় সাফল্য চন্দ্রকোনা থানার পুলিশের (Chandrakona police Station)। জানা গিয়েছে, গত দুদিন ধরে চন্দ্রকোনার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের থেকে বিভিন্ন রকম নথি সংগ্রহ করছিল একটি সার্ভে টিম (servey team)। যাদের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু যুবক ও দুজন মহিলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তদন্তে নামে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ (Chandrakona police Station)। প্রথমে সেই ভুয়ো টিমের তিনজনকে গ্রেফতার (Arrest)করা হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ছয়জনকে গ্রেফতার হয়। ধৃতদের লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে, এই দলটি সাধারণ মানুষের গোপন তথ্য সংগ্রহ করে চলছে। একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে টিমের সদস্যদের পাকড়াও করে পুলিশ। এছাড়াও বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি চারচাকা গাড়ি, ৯টি মোবাইল ও বহু ভুয়ো আধার কার্ড (Adhar card) ।
আরও পড়ুন: ফের হিঙ্গলগঞ্জের আকাশে ড্রোন, আতঙ্ক
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। কার্তিক মাইতি খড়গপুরের সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা, প্রনিক মন্ডল উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা, সমীর দত্ত পশ্চিম মেদিনীপুর, তহিদুল শেখ নদিয়ার, সায়নী কুন্ডু পূর্ব মেদিনীপুর, সোনালী মান্ডি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আনন্দপুরের বাসিন্দা, সুবর্ণ ঘোষ ভদ্রেশ্বরের, আশিক শেখ নদিয়া ও শম্ভুনাথ হালদার উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দলটি হরিয়ানার গুরগাঁওয়ের ডিপ লেন্স রিসার্চ কোম্পানির হয়ে, এক্সপ্রেস অ্যাপের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করার কাজ করছিল। যদিও চন্দ্রকোনা শহরের এক হোটেল মালিকের দাবি, কয়েকজন যুবক আইপ্যাকের নাম করে তাঁর হোটেলে উঠেছিল। কয়েকদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করেছিলেন পুলিশ প্রশাসনকে, পাশাপাশি দলীয় স্তরেও সজাগ থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। রাজ্যে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এলাকায় এলাকায় সমীক্ষা চলছে এবং মানুষের থেকে গোপন তথ্য সংগ্রহ চলছে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক সভা থেকেও এ বিষয়ে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার পুলিশের এই বড়সড় সাফল্য।
দেখুন অন্য খবর