কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মতুয়া সমাজের প্রাণপুরুষ শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথির ভাষণেও এল রাজনৈতিক হিংসার কথা। ভারচুয়াল ভিডিয়ো বার্তায় পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সমাজকে সেই কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রামপুরহাটের হিংসার ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এইরকম আবহেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এল দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানোর মতো একাধিক সাম্প্রতিক ইস্যু।
এদিন ৯টা নাগাদ মতুয়াদের উদ্দেশে ভারচুয়াল এই ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণ শুরুতেই তিনি বাংলায় জয় হরিবোল বলেন। সকল মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানান। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ওড়াকন্দিতে যাওয়ার অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নেন সকলের সঙ্গে। বলেন, তাঁকে আপন করে নিয়েছে ঠাকুরবাড়ি। মতুয়া সম্প্রদায়ের থেকে তিনি বিশেষ অনেক কিছুই শিখেছেন বলেও জানান।
এরপরই বর্তমান রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে নাম না করেই একপ্রকার রামপুরহাট কাণ্ডের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি রয়েছে তাতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনদর্শন আমাদের কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা সমাজকে ভাগ করার চেষ্টা করছে। এরকম কিছু ঘটনা দেখলে রুখে দাঁড়ান। প্রতিবাদ করুন। সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করতে হবে। দুর্নীতি চোখে পড়লে সরব হন। দুর্নীতি দেখলে প্রতিবাদ করুন।
আরও পড়ুন- Naftali Bennett’s India visit: নাফতালি বেনেতের ভারত সফর পিছোল
এদিন মতুয়া সম্প্রদায় আশা করেছিল সিএএ নিয়ে নতুন কিছু বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে, এই বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি। বরং মতুয়া সমাজের প্রাণপুরুষ শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনদর্শন নিয়ে কথা বলেন।
বলেন, হরিচাঁদ ঠাকুর সেই সময় ব্রাহ্মণবাদ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়ে তিনি মহিলা কোর্ট, মহিলাদের স্কুল তৈরি করে নারী শিক্ষার অগ্রগতি করেছিলেন। বর্তমানে যখন বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও বা নারীদের অগ্রগতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে সরকার। আর সেগুলি যখন সফল হচ্ছে তখন মনে হয় তাঁর দেখানো পথেই এগোচ্ছে দেশ। আমরা তাঁর মান রাখছি।
এছাড়াও এদিন মতুয়া সমাজের কল্যাণের জন্য তিনি বলেন, ‘আমি চাই প্রত্যেকটা বাড়ি পাকা হোক। তাতে বিদ্যুৎ-জল সব পৌঁছে যাক। সরকার সেই জন্য সবরকম চেষ্টা করছে। রাজ্য সরকারকেও এই নিয়ে বলা হচ্ছে।’
ये मतुआ धर्मियो महामेला, मतुआ परंपरा को नमन करने का अवसर है।
ये उन मूल्यों के प्रति आस्था व्यक्त करने का अवसर है जिनकी नींव श्री श्री हरिचांद ठाकुर जी ने रखी थी।
इसे गुरुचांद ठाकुर जी और बोरो मां ने सशक्त किया।
आज शांतनु जी के सहयोग से ये परंपरा इस समय और समृद्ध हो रही है: PM
— PMO India (@PMOIndia) March 29, 2022
हम अक्सर कहते हैं कि हमारी संस्कृति, हमारी सभ्यता महान है।
ये महान इसलिए है क्योंकि इसमें निरंतरता है,
ये प्रवाहमान है,
इसमें खुद को सशक्त करने की एक स्वाभाविक प्रवृत्ति है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) March 29, 2022