গঙ্গারামপুর: হাসপাতালে ভর্তি করাতে এসে হুইলচেয়ার নিতে দামি অ্যান্ড্রয়েড ফোন (Android phone) চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর কাছে জমা রাখতে হল রোগীর পরিবারের সদস্যকে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর (Gangarampur) মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Super speciality hospital) ঘটনা। এই ঘটনায় তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন সকলেই।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে গঙ্গারামপুর (Gangarampur) পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী সুব্রত সূত্রধরের স্ত্রী শিপ্রা অসুস্থ হয়ে পড়েন।অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন ব্যবসায়ী। হাসপাতালের মহিলা বিভাগে তিনি ভর্তিও হন তিনি।চিকিৎসক সুব্রতকে জানান, স্ত্রীর ইকো কার্ডিওগ্রাম (eco cardiogram) করাতে হবে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে যেতে হুইলচেয়ার আনতে যান।অভিযোগ, তখন ঠিকাদার সংস্থার এক অস্থায়ী কর্মী তাঁকে বলেন, ‘আপনার আধার বা ভোটার কার্ড জমা দিন। হুইলচেয়ার নিলে আধার বা ভোটার জমা করতে হবে।’ সুব্রত জানান, তাঁর কাছে দু’টির কোনওটিই নেই। তখন ওই কর্মী বলেন, ‘তা হলে আপনার মোবাইলটা জমা রাখুন। কোনও কিছু জমা না রাখলে হুইলচেয়ার দেওয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি-মালদা ডেমু ট্রেনে আগুন, আতঙ্কে হুড়োহুড়ি যাত্রীদের
কেন এই ধরনের নিয়ম জানতে চাইলে হাসপাতালের ওই কর্মী বলেন ‘হুইলচেয়ার চুরি হচ্ছে, তাই নিজেরাই এই নিয়ম চালু করেছি। হাসপাতালে সুপার এই ঘটনা স্বীকার করে বলেছেন, ‘হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা আমার কথা শোনে না। বিষয়টি নিয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলব’। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে ভুক্তভোগী রোগীর পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ছাড়াও স্বাস্থ্য ভবন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ওই রোগীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘এমন নিয়ম বাপের জন্মেও শুনিনি। সরকার যখন চাইছে রোগীদের ভালো পরিষেবা দিতে, তখন এই সমস্ত কর্মীদের জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে’। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান তিনি। এর আগেও বারবার সরকারি হাসপাতলে পরিকাঠামো সহ একাধিক বিষয় নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন রোগীরা। এবার সেই অভিযোগ গঙ্গারামপুরে।
দেখুন আরও খবর: