মেদিনীপুর : পেট্রল ও মূল্য প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি দাম কিছুটা কমলে তাও নাগালের বাইরে। রাস্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী পাচ্ছে না বাস চালকরা। লোকসান বাঁচাডিজেলের তে এবং ডিজেল না কিনতে পেরে মবিল ও কেরোসিন মিশিয়ে রাস্তায় বাস নামাচ্ছেন মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডের বাস চালকরা। অনেকেই লোকসান সামাল দিতে না পেরে বন্ধ করেছেন বাস পরিষেবা।
এই চিত্রটা দেখা গিয়েছে মেদিনীপুর শহরের পশ্চিম মেদিনীপুরের সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ বাস যাতায়াত করে। কিন্তু করোনা লকডাউন সহ একাধিক কারণে এই পরিষেবার ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় এবং সময়মত ইএমআই না দিতে পারার কারণে বহু বাস মালিক বাস বন্ধ করে দিয়েছেন। তারপর নতুন করে বিপদ পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি। এই সব কারণে এই মুহূর্তে আড়াইশো বাস চলাচল করছে, তাও অনিয়মিত। লালগড় রুটের বাস মালিক নরেশ পাত্র জানান, “পরিস্থিতি ভয়ানক। চরম লোকসান হচ্ছে। যা দেখে বহু লোক বাস পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন। অনেকেই ডিজেল কেনার ক্ষমতা হারিয়ে কেরোসিনে গাড়ি চালাচ্ছেন। যা আরও বড় বিপদ ডেকে আনবে।” এই পরিস্থিতিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আন্দোলনের পথে যাওয়া হবে বলেও জানালেন আর এক বাস মালিক উজ্জল মাহিশ। তিনি বলেন, সরকার পদক্ষেপ না নিলে আর কোনও রাস্তা থাকবে না। এর জন্য আন্দোলনে নামতেও তাঁরা রাজি।
আরও পড়ুন : গভীর ক্ষতে মলম দেওয়ার চেষ্টা, বৃহস্পতিবার থেকে দাম কমছে পেট্রোল ও ডিজেলের
বাস কর্মীরা জানান, পরিস্থিতি এমন হয়েছে, বাস মালিকদের কথা মাথায় রেখে একদল লোকজন ডিজেল কিনে এনে তার সঙ্গে কেরোসিন মিশিয়ে বাস চালকদের সরবরাহ করছেন। কম মূল্যে তা কিনে বাস চালাচ্ছেন তাঁরা। জেলা পরিবহন সংগঠনের সভাপতি পার্থ ঘনা বলেন, তাঁদের সমস্যার কথা তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। প্রয়োজনীয় সুরাহা না হলে বিপদ আরও বাড়বে। কারণ একবার ইঞ্জিন সার্ভিস করতে যে টাকা খরচ করতে হতো, কেরোসিন দিয়ে এই ভাবে গাড়ি চালালে তার দশগুণ অতিরিক্ত খরচ হবে। ফলে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা থাকছে।