কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সুপারি কিলার দিয়ে খুন? পানিহাটিতে (Panihati Tmc Councillor) তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্ত (TMC Councillor Anupam Dutta) খুনের ঘটনায় এমনই সূত্র মিলেছে পুলিসের কাছে। খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শম্ভু ওরফে অমিত পণ্ডিতকে গ্রেফতার করে এই তথ্য হাতে এসেছে পুলিসের। কিন্তু কেন ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন করা হল কাউন্সিলরকে ? এই প্রশ্ন হাতড়ে বেড়াচ্ছে পুলিস। দুপুরের মধ্যে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আরও দু’জনকে আটক করে জি়জ্ঞাসাবাদ চলছে৷ আটক করা দুই ব্যক্তি এলাকায় প্রোমোটারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে৷
নদিয়ার হরিণঘাটা থানার মোল্লাবেলিয়া মনসাতলার বাসিন্দা পেশায় গাড়িচালক অমিত। ২০২১-এর ২৪ ডিসেম্বর তার এক বন্ধুকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে অমিতের বিরুদ্ধে। তখন থেকে সে পলাতক ছিল। কিন্তু খুনের পিছনে কী কারণ থাকতে পারে ? সেই সত্য উদ্ঘাটনে পুলিস সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখছে।
যদিও এই খুনের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, পানিহাটি বরাবরই অশান্তিপ্রবণ এলাকা। এখানে বাইরে থেকে অনেক লোক এসে খুন করে চলে যায়। তবে এইভাবে খুনের রাজনীতি চালিয়ে তৃণমূলের শক্তিক্ষয় করা যাবে না। পানিহাটির বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল নেতা নির্মল ঘোষ অভিযোগ তুলেছেন সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছে অনুপম দত্তকে। তার দাবি, অনুপম অত্যন্ত ভালো ছেলে। এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী দলের নেতৃত্বে অনৈতিক কাজ-কারবার চলছিল। আর তাতে বাধা সৃষ্টি করছিল অনুপম। যে কারণে দুষ্কৃতীদের টার্গেট হয়ে উঠেছিল সে। তাই তাকে সরানোর চক্রান্ত করেছে দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন Agarpara TMC Councillor: আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার তৃণমূল
তৃণমূলের এই দাবি অস্বীকার করে বিজেপি বলেছে, এটা শাসক দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। এর সঙ্গে বিজেপির কেউ জড়িত নেই। এলাকায় অনৈতিক কাজকর্ম যদি কিছু ঘটে থাকে তার সঙ্গে তৃণমূলের লোকজনই জড়িত, এটা সাধারণ মানুষও জানেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তো বলেই দিয়েছেন, ভোট পরবর্তী হিংসা কোন স্তরে গিয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে একই দিনে দুই কাউন্সিলর খুনের ঘটনায়। এ রাজ্যে জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তাই যখন নেই, তখন সাধারণ মানুষের অবস্থা কী তা সহজেই অনুমান করা যায়।
রাজনৈতিক দোষারোপের পালা চললেও পুলিসের একাংশের ধারণা, যেভাবে খুন করা হয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে ব্যক্তিগত আক্রোশের ফলেই এই কাজ করেছে দুষ্কৃতী। তাকে হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্য পরিষ্কার হবে।