শিলিগুড়ি: নাবালিকা খুনে অভিযুক্তকে ঘিরে আদালতে ধুন্ধুমার। স্থানীয়রা মঙ্গলবার শিলিগুড়ি আদালতে চত্বরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। কেউ কেউ অভিযুক্ত মহম্মদ আব্বাসকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাকে মারধরও করতে চান বিক্ষুব্ধরা। আব্বাসের ফাঁসি দাবি করেছেন স্থানীয়রা। অভিযুক্তকে নিয়ে কোর্ট চত্ত্বরে পৌঁছলে সমস্যায় পড়তে হয় পুলিশকে। সাময়িকভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সেখানে। পুলিশ হিমশিম খায়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।
প্রসঙ্গত, সোমবার এক স্কুল পড়ুয়ার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ উদ্ধারের ঘটনার ছয় ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত। ধৃত শিলিগুড়ির লেলিন কলোনির বাসিন্দা মহম্মদ আব্বাস। সোমবার রাতেই বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই স্কুল পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করা হয়েছিল। বাধা পেতেই ইট দিয়ে নাবালিকার মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয় স্কুল পড়ুয়ার। গ্রেফতারির পর সে কথা স্বীকার করে নিয়েছে ধৃত।
আরও পড়ুন: পুলিশি তদন্তে ব়্যাগিং তত্ত্বই স্পষ্ট হয়ে উঠছে
সোমবার সন্ধেয় মাটিগাড়া থানার অন্তর্গত মোটাজোত এলাকায় একটি পরিত্যক্ত জমি থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় তদন্তে নেমে স্থানীয়দের বয়ান সহ সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখে মহম্মদ আব্বাসের কথা জানতে পারে পুলিশ। এরপর তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের পাশ থেকেই ইটের টুকরো উদ্ধার হয়। ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা জানান, ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে ইট দিয়ে আঘাত করে তাকে খুন করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সহ বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গতকাল রাত একটা নাগাদ বাড়ি থেকেই মহম্মদ আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়৷ পুলিশ অভিযুক্তকে কোর্টে নিয়ে আসলে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তর উপর ঝাপিয়ে পড়ে।