ওয়েব ডেস্ক: গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার (Patharpratima) ঢোলাহাট। বণিক বাড়ির একাধিক ব্যক্তির এই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়। আর এবার এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮। বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুতপা বণিক। আজ সকালে মৃত্যু হল তার। বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের চার শিশু সহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮।
এই ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন বাজি কারখানার মালিক, দুই ভাই চন্দ্রকান্ত বণিক এবং তুষার বণিক। ইতিমধ্যেই দুজনের বিরুদ্ধেই রুজু করা হয়েছে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা, ঢোলাহাট থানায়। শুধু তাই নয় গোটা ঘটনার তদন্ত করতে আজকেই ঘটনাস্থলে যাবে ফরেনসিক দল (Forensic Team)।
তবে এবার এই ঘটনায় চন্দ্রকান্ত বণিক যার খোঁজ পাচ্ছিলেন না পুলিশ, তাকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। তাকে করা হয়েছে গ্রেফতার। আগেই তাদের বিরুদ্ধে রুজু করা হয়েছিল জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা। আর এবার পুলিশের জালে চন্দ্রকান্ত বণিক। পাথরপ্রতিমা বিস্ফোরণ কান্ডে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয়দের দাবি, সিলিন্ডার ফেটে নয়, এক দশক ধরে সেখানে বেআইনি বাজি মজুত করা ছিল সেখান থেকেই ঘটে প্রথম বিস্ফোরণ। তারপর সিলিন্ডারে আগুন লেগে ঘটে আরও একটি বিস্ফোরণ। এই ঘটনায় নিখোঁজ বাজি কারখানার মালিক, দুই ভাই চন্দ্রকান্ত বণিক এবং তুষার বণিক। ইতিমধ্যেই দুজনের বিরুদ্ধেই রুজু করা হয়েছে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা, ঢোলাহাট থানায়। শুধু তাই নয় গোটা ঘটনার তদন্ত করতে আজকেই ঘটনাস্থলে যাবে ফরেনসিক দল (Forensic Team)।
আরও পড়ুন: পাথরপ্রতিমায় বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ নবান্নের
আর এবার ঢোলাহাটের বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ নবান্নের (Nabanna)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার জেলা শাসকের রিপোর্ট তলব। লাইসেন্স, বাড়িতে বাজি তৈরি রেবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নবান্নের রিপোর্ট তলব। সমস্ত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আদৌ কি বাজি কারখানার লাইসেন্স ছিল? বাড়িতে কি সত্যি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মজুত ছিল বেআইনি বাজি? পুলিশেরই বা কি ভূমিকা রয়েছে? এই সবকিছুর পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট তলব করা হল নবান্নের পক্ষ থেকে। যত দ্রুত সম্ভব এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্নের তরফ থেকে তলব করা হল এই রিপোর্ট।
উল্লেখ্য, গতকাল রাতে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে উড়ে যায় বাড়ির ছাদ। শুধুতাই নয়, ৫ কিলোমিটার দূর থেকে শোনা যায় সেই শব্দ। ঘটনায় উড়ে যায় বণিক পরিবারের বাড়ির ছাদ। বাড়ির জানলার গ্রিল সহ দেওয়াল উড়ে যায় পাশের এলাকায়। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ওই এলাকা।
দেখুন অন্য খবর