কোচবিহার: ভাদ্রের শুক্লা অষ্টমীতে ময়নাকাঠ পুজোর মধ্য দিয়ে রাজ আমলের প্রায় সাড়ে ৫০০ বছরের প্রাচীন বড় দেবীর পূজোর সূচনা হল। বৃহস্পতিবার গুঞ্জবাড়ির ডাঙ্গরাই মন্দিরে ময়না কাঠের যুগচ্ছেদনের পর বিশেষ পুজোর মধ্য দিয়ে পায়রা বলির দেবীর পুজোর সূচনা হয়। তৎকালীন কোচবিহার রাজ্যের মহারাজা বিশ্ব সিংহের আমলে স্বাপ্নাদেশে এই পুজোর শুভ সূচনা হয়েছিল।
দুর্গা পুজোর সঙ্গে এই বড় দেবীর পুজো কিছুটা মিল থাকলেও, এই দেবীর পুজো কিন্তু একটু আলাদা। দুর্গা ঠাকুরের সঙ্গে লক্ষ্মী, গনেশ, কার্ত্তিক ও সরস্বতী থাকলেও রক্তবর্ণা এই বড় দেবীর দু’পাশে অধিষ্ঠিত হল জয়া এবং বিজয়া। শুক্লা অষ্টমী তিথিতে ময়না গাছ কেটে নিয়ে আসা হয় গুঞ্জবাড়ির ডাঙ্গরাই মন্দিরে। সেখানে মহাস্নান, বেদ মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে বিশেষ পুজো সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: স্বল্প খরচে উত্তরবঙ্গ যেতে চান? জেনে নিন কীভাবে ট্রিপ প্ল্যান করবেন
এদিন সন্ধ্যায় প্রথা মেনে এই ময়না কাঠ নিয়ে যাওয়া হবে মদনমোহন মন্দিরে। সেখানে একমাস বিশেষ পূজোর পর রাধা অষ্টমী তিথিতে সেই ময়না কাঠ বড় দেবীর মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তিন দিন হাওয়া খাওয়ানোর পর সেই ময়না কাঠকে মেরুদন্ড করে তার উপরে বড় দেবীর প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হবে।