ওয়েবডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ বিল ইস্যুতে (Waqf Bill Issue) রণক্ষেতের চেহারা নিয়েছিল মুর্শিদাবাদ (Mirshidabad)। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। উত্তেজনা তৈরি হয় মুর্শিদাবাদের সুতি (Suti), সামশেরগঞ্জের (Shamsherganj) , ধুলিয়ান, জঙ্গিপুরে। সরকারি যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে, ভাঙচুর চালানো হয়। তিনজনের প্রাণও চলে যায়, আহত হয় বহু মানুষ। মামলা গড়ায় হাইকোর্ট (High Court) পর্যন্ত।
আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। লাগাতার অশান্তির জেরে একাধিক গ্রাম ছেড়ে পালায় বহু পরিবার। ঘরহারানো মানুষগুলো আশ্রয় নেয় পড়শি জেলা মালদহের বৈষ্ণবনগরের বিভিন্ন স্কুলে। তবে এবার পুলিশের কড়া হস্তক্ষেপে ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে পরিবেশ।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় (Superintendent of Jangipur Police District Anand Roy) রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, গত ১২ তারিখের পর আর নতুন করে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। তবে ধরপাকড় জারি আছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আছে। তাই তাদের মনে ভরসা তৈরি করাটাই এখন প্রধান কাজ।
আরও পড়ুন: ২০ মে দেশজুড়ে ধর্মঘট ডাক, মন্তব্য অনাদি সাহুর
‘সুতি এবং সামশেরগঞ্জ এলাকায় যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তাতে শনিবার পর্যন্ত মোট ১৩৮টি মামলা রুজু হয়েছে। তার মধ্যে শনিবার নতুন করে ১৪ টি মামলা রুজু হয়। এখনও পর্যন্ত অশান্তি ছড়ানোর দায়ে ২৮৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জাফরাবাদে বাবা-ছেলেকে খুনের ঘটনায় নতুন করে আরও একজনকে গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতের নাম জিয়াউল হক। সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত শুলিতলার বাসিন্দা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে ইসলামপুর থানার চোপড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে বাবা-ছেলে খুনে মোট ধৃতের সংখ্যা চার। এই খুনের ঘটনায় অন্যতম প্রধান ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিল জিয়াউল। ধৃতদের জেরা করেই জিয়াউলের নাম পায় পুলিশ। আনন্দ রায় আরও জানান, মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০টি পরিবার বাড়িতে ফিরে এসেছে। ঘরছাড়ারা সবাই ফিরবে বলেই আশাবাদি। কেন্দ্রীয় এবং পুলিশ বাহিনীর টহলদারি জারি আছে।
জাফরাবাদ এবং আশেপাশের এলাকায় তিনটি পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে।’ এদিন সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত ধুলিয়ান ডাকবাংলো মোড় সংলগ্ন এলাকায় যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিক ছিল। ধীরে ধীরে খুলছে দোকান পাঠ। বাজারগুলিতেও আসা যাওয়া শুরু হয়েছে ক্রেতাদের।
দেখুন অন্য খবর: