মালদার একই পরিবারের চারজনকে খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। মা, বাবা, বোন, দিদাকে খুনের ঘটনায় আসিফ মহম্মদকে শনিবার গ্রেফতার করে মালদহ থানার পুলিশ। শনিবার রাতে কালিয়াচক থানার পুলিশ ধৃত আসিফকে জেরা করে জানতে পারে ১৬ মাইল গ্রামের দুই যুবক মহাফুজ মহম্মদ এবং সাবির আলির কাছে মোট ৫ টি ৭ এমএম পিস্তল, ৮০ রাউন্ড গুলি এবং ১০ টি ম্যাগজিন রাখা আছে। পুলিশ রাতেই দুই জনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে সব আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ম্যাগজিন উদ্ধার করে। কী করে তাদের সঙ্গে আসিফের যোগাযোগ হল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ রোগী আনতে গিয়ে হামলার শিকার অ্যাম্বুলেন্স চালক
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাত্র ১৯ বছর বয়সের আসিফের টাকার প্রতি প্রচুর লোভ ছিল। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার বেশ কয়েকবছর আগে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল সে। সেই সময় বাবার সঙ্গে অপহরণের নাটক করে আড়াই লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে বাড়ি ফেরে আসিফ। অপহরণের নাটকে তাকে সাহায্য করে বন্ধুবান্ধবরা। তবে তখন থেকেই অস্ত্র-সহ ধৃত সাবির আলি এবং মাফুজ আলম আসিফের এই কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ রবিবার রাজ্যে ভারী বর্ষণ
চলতি বছরের গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাবা, মা, বোন ও দিদাকে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে আসিফ। সুড়ঙ্গপথে গুদামঘরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানেই চৌবাচ্চায় ফেলে দেওয়া হয় প্রত্যেককে। চাপা দিয়ে দেওয়া হয় বালি, পাথর, সিমেন্ট। শনিবারই চারজনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেরায় পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার আগেরদিন বাজার থেকে আসিফ নিজেই সেলোটেপ, ঠান্ডা পানীয়, ঘুমের ওষুধ কিনে আনে। আগে থেকে চৌবাচ্চা, সুড়ঙ্গপথ তৈরিও করেছিল সে। পরিজনদের খুনের ঘটনায় আরও কারোর যোগসাজশ রয়েছে কিনা, সে বিষয়টির দিকেও নজর রয়েছে তদন্তকারীদের।