খানাকুলের অরুন্ডা কাণ্ডে এবার উঠে এলো নয়া তথ্য। নকল সিভিক পুলিশ দিয়ে বিজেপি কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারের ঘটনায় এবার উঠে আসে চব্বিশপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা বিজেপির এককর্মীর গুলি বিদ্ধ হয়ে জখম হওয়ার ঘটনা। সূত্রের খবর আক্রান্ত ওই বিজেপি কর্মীর নামকালিপদ দলুই। তাঁর হাতে গুলি লাগে এবং পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় ছিল যে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করানো হয়। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল এবং পুলিশের ভয়ে ওই আহত অবস্থাতেই কালীপদকে বাড়িতে লুউকিয়ে রাখ হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে অন্য রাস্তা ধরে তাঁকে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আনা হয়।
কিন্তু গুলি করল কে বা কারা?
কালিপদর অভিযোগ, এখানকার বাসিন্দা ও তৃণমূলের নেতা বাঘা অপর একজনকে সিভিক পুলিশের পোশাক পরিয়ে আমাকে গুলি করিয়েছে। আমি তখন মাঠে কাজ করছিলাম। আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করে ঐ নকল সিভিক পুলিশ। আমার হাতে লাগে গুলি। কিন্তু আমি ভয়ে হাসপাতালে আসতে পারিনি।আমি লুকিয়ে ছিলাম। আমাদেরই দলের লোকজন আমার স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করায়। আমি আজ ভোরেই কোন রকমে লুকিয়ে অন্য রাস্তা ধরে হাসপাতালে এসেছি। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি,পুলিশ ও তৃণমূল মিলে আমাদের ছেলেদের ওপরেই অত্যাচার করেছে আর আমাদের ছেলেদেরই গ্রেফতার করে কেস দিয়েছে।এসব আর চলবে না। লোকসভা নির্বাচনেই তা ওরা টের পেয়ে যাবে।
যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখন মিথ্যা অভিনয় করে সাজিয়ে নিয়ে ঘটনাকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেদিন কী হয়েছিল কারুরই অজানা নেই। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।
আরও পড়ুন: আজ মুম্বই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠক
মঙ্গলবার ২৯ অগাস্ট পঞ্চায়েতে উপসমিতি গঠনকে ঘিরে মঙ্গলবার তুলকালাম ঘটে পুড়শুড়ার অরুণ্ডাতে। তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে তমুল সংঘর্ষ হয়। পঞ্চায়েত ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া দেয়। দুই দলের পার্টি অফিসেই ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন লাগানো হয়েছে। পুলিশের একাধিক মোটর বাইক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশও। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হন। দুই দলের অন্তত ১০ জন গুরুতর জখম হয়েছেন বলে দুপক্ষেরই দাবি। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয়েছে। জেলার পদস্থ পুলিশ কর্তারাও ঘটনাস্থলে হাজির হন।
স্থানীয়রা জানান, পুলিশের সামনেই তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সমানে বোমাবাজি চলে। পুলিশ প্রথমে নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল। পরে তারাও আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশ অ্যাকশনে নামে। লাঠি চালিয়েও পরিস্থিতি বাগে আনতে পারেনি তারা। পরে কাঁদানে গ্যাসও চালায় পুলিশ। এই মুহূর্তে এলাকা শুনশান। গোটা তল্লাট কার্যত বনধের চেহারা নিয়েছে।