বনগাঁ: ইচ্ছে ছিল মৃত্যুর পর তাঁর দেহ যেন নবদ্বীপ (Nabadwip) শ্মশানে পোড়ানো হয়৷ তাই ৯২ বছরের বৃদ্ধা শিবানী মুহুরির মৃত্যুর পর বনগাঁর পারমাদন থেকে শনিবার রাতে (Saturday Night) তাঁর দেহ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা রওনা দিয়েছিলেন নবদ্বীপ৷ কিন্তু শ্মশানে পৌঁছনোর আগেই দুর্ঘটনার (Tragic Road Accident) কবলে পড়ে শবযাত্রীদের গাড়ি৷ তাতেই প্রাণ হারান একই পরিবারের ১২ জন৷
রবিবার থেকে পারমাদন গ্রামে শোকের ছায়া৷ মুহুরির পরিবারের ১২ জন সদস্য ছাড়া ওই গ্রামের আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন৷ রবিবার রাতেই মৃতদেহগুলি পৌঁছয় গ্রামে৷ তার পর শেষকৃত্য হয়৷ শ্মশানে তখন হাজির হন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ শনিবারের দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন শিবানী মুহুরির ছোটো মেয়ে সুচিত্রা বিশ্বাস৷ সুচিত্রার মেয়ে সীমা জানিয়েছেন, দিদার শেষ ইচ্ছা ছিল নবদ্বীপ শ্মশানে যেন তাঁকে দাহ করা হয়৷ কারণ দাদুকে ওখানে দাহ করা হয়েছিল৷ দিদার মৃত্যুর পর মা খুব ভেঙে পড়েছিল৷ আমি মাকে শ্মশানে যেতে বারণ করেছিলাম৷ তবুও মা গেল৷ দিদার শেষ ইচ্ছাকে মান্যতা দিতে গিয়ে সব শেষ হয়ে গেল৷
দুর্ঘটনায় নিহতদের শেষকৃত্যে উপস্থিত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ সোমবার৷ নিজস্ব চিত্র৷
আরও পড়ুন:নেই কুকারের শব্দ-খুন্তির ঠোকাঠুকি, গোটা গ্রামটাই যেন শ্মশানপুরী
ছোটো মেয়ের সুচিত্রার বাড়িতে শনিবার রাতে মারা যান শিবানি মুহুরি৷ সীমা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগে দিদা গোবরডাঙা এসেছিল৷ বয়সজনিত কারণে এ বাড়িতেই মারা যান৷ তার পর গোবরডাঙা থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পারমাদনে৷ সেখান থেকে আবার নদিয়ায় যাওয়া হয়৷ পথেই ঘটে দুর্ঘটনা৷ এদিকে দুর্ঘটনার কারণ কী তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ মুহুরি পরিবার মনে করছে, বেহাল রাস্তা এবং ঘন কুয়াশার জন্য দুর্ঘটনা ঘটতে পারে৷