চাকদহ: পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন।পরে চাকদা রেললাইনে মা’কে সঙ্গে নিয়ে আত্মঘাতী ছেলে৷ শনিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া চাকদা পুরসভার ১৫নম্বর ওয়ার্ডে। মৃত ওই মহিলার পরিবারের অভিযোগ, দু’ মাস আগে মেয়ের বিয়ে হয়। সে বি.এড পড়ছিল।এটাই পরিবারের লোকেরা মেনে নিতে পারেনি। এই নিয়ে অশান্তি লেগে থাকতো।তাই মেয়েকে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করেছে তারা।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই মহিলার নাম বর্ণালী ঘোষ।বছর ২৩ এর এই মহিলার বাড়ি চাকদা নারকেলডাঙ্গায়৷ দু’মাস আগে গোপালনগর থানার পাল্লা বাজারের, দেবাশিস রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।দেবাশিস পেশায় রেলকর্মী। বাড়িতে নিজের মা ও স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন দেবাশিস । শনিবার রাতে চাকদার ১৫নম্বর ওয়ার্ডের রথ তলা মিত্র বাড়ি থেকে ওই মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
বর্ণালীর পরিবারের অভিযোগ, শনিবার সকাল থেকে মেয়ের ফোনে ফোন করা হয়।তবে সে ফোন ধরেনি কেউ।সন্দেহ হওয়ায় শেষে বিকেল বেলায় মেয়ের বাড়িতে পৌঁছে যান মৃতের বাবা।গিয়ে দেখেন বাড়িতে তালা দেওয়া। সন্দেহ আরও বাড়ে।শেষে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায়, দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় বর্ণালীর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে ঘরের মেঝেতে।খবর দেওয়া হয় চাকদহ থানায়। ঘটনাস্থলে এসে আসে চাকদহ থানার পুলিস৷ পরে মৃতদেহটিকে নিয়ে চাকদা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিস।
পুলিস জানিয়েছে, দেবাশিস শনিবার ভোর রাতে নিজের স্ত্রী বর্ণালী ঘোষকে রড দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। এর পর মৃতদেহটিকে বাড়িতে রেখে দরজা আটকে দেবাশিস ও তাঁর মা চলে যান চাকদা রেল স্টেশনে। ৫০নম্বর রেলগেটে গিয়ে নিজের মা’কে নিয়ে আত্মহত্যা করেন। দেবাশিসের দেহ রেললাইনে দু’টুকরো হয়ে যায় ও মা, নীহারবালা রায়কে গুরুতর অবস্থায় কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷দেবাশিসের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাকদহ থানার পুলিস।
আরও পড়ুন Behala TMC Clash: বেহালায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মারামারির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাপান গ্রেফতার