বহরমপুর: মুর্শিদাবাদ জেলাতে এসেও ডেপুটেশন মঞ্চে বেসুরো বিজেপি নেতাদের হাজির করাতে পারলেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত আসার আগে বিজেপির মঞ্চে বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্রকে দেখা গেলেও পরে উধাও হয়ে যান তিনি। মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ, লালবাগের বেসুরো বিজেপি নেতা-কর্মী, কেউই হাজির হননি মঞ্চে। যদিও বিজেপি সভাপতির দাবি, গৌরীশঙ্কর ঘোষ স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকের কারণে আসতে পারেননি।
সোমবার বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে এক জনসভার আয়োজন করে মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপি। রাজ্যে খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দেয় বিজেপি। বিজেপির ওই ডেপুটেশন মঞ্চে সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও নদিয়ার বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে ওই মঞ্চে কিছুক্ষণের জন্য উপস্থিত হন বহরমপুর বিধায়ক সুব্রত মৈত্র। তবে মুর্শিদাবাদ বিধায়কের দেখা পাওয়া যায়নি।
কিছুদিন আগেই গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং সুব্রত মৈত্র বিজেপির জেলা সভাপতির একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। ওই দুই বেসুরো বিধায়ক আজ হাজির হবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। এদিন সভা শেষে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘গৌরীশঙ্কর ঘোষের সঙ্গে জেলা সভাপতির কথা হয়েছে। গৌরীবাবু স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যাওয়ার কারণে বহরমপুরের সভায় উপস্থিত হতে পারেননি।’
আরও পড়ুন: Jhalda Murder: তপন কান্দুর ছেলেকে ‘হুমকি’, তৃণমূল কর্মী ভীম তিওয়ারিকে জেরা সিবিআইয়ের
সুকান্তর দাবি, অন্য যারা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁদের মঞ্চে আসার কথা নয়। দল তাঁদের বিষয়ে ভাবছে বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অন্যদিকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সহ একাধিক জেলায় মাওবাদী পোস্টার প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, কেন মাওবাদী পোস্টার পড়ছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই সমস্ত এলাকায় ১৫৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে চিঠি লেখার কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গিয়েছে।