লালবাগ : লকডাউনের পর এই প্রথম মহরম অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে লালবাগের ইমামবাড়ায়। ১০ দিন ধরে মহরম উপলক্ষ্যে জৌলুস বের হয় লালবাগ শহরে। কয়েক দিন আগেই জনসাধারণ এবং পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে হাজারদুয়ারি। এবার সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল ইমামবাড়া।
আরও পড়ুন : প্রায় ৮৫ দিন পর খুলল হাজারদুয়ারি, রোজগারের আশায় গাইড ও ছোট ব্যবসায়ীরা
করোনা আবহে গতবছর মহরমে বন্ধ ছিল লালবাগের ইমামবাড়া। এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই খুলে গেল ইমামবাড়ার দরজা। ইতিহাসবিদদের মতে, ১৮৭৪ সালে নবাব ফেরাদুন জাঁ ৬ লক্ষ মুদ্রা ব্যয় করে এই ইমামবাড়া নির্মাণ করান। একমাত্র লালবাগের এই ইমামবাড়াতেই রয়েছে হজরত মহম্মদের জামাতা হজরত আলির হাতের সই করা কোরান শরিফ। নবাব ফেরদুনজা ইমামবাড়া নির্মাণ করার পর থেকেই মহরমের জৌলুস বাড়তে শুরু করে। সেই সময় মহরমের জৌলুসে হাতি ঘোড়া সাজিয়ে বের করা হত। তখনকার জৌলুসের সঙ্গে এখনকার জৌলুসের বিস্তর ফারাক রয়েছে। তবে এবছর মহরম পালন করতে উৎসাহ দেখা গেছে এলাকার ধর্ম প্রাণ মানুষের মধ্যে। ৫০ জন মানুষকে একসঙ্গে ইমামবাড়ায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন : বাংলা আবাস যোজনায় জোর মুর্শিদাবাদে
১৪০০ বছর আগে ইরাকে কারবালার ময়দানে মারা যান হাসান ও হোসেন। সেই শোকপালনের নাম মহরম। ইমামবাড়ার অর্থ পবিত্র জায়গা। লালবাগের এই ইমামবাড়ায় শোকপালন করতে আসেন দুরদুরান্তের মানুষ। ইমামবাড়া বছরে ১০ দিন খোলা থাকে সাধারণ মানুষের জন্য। প্রথম মহরম থেকে দশম মহরম পর্যন্ত সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় ইমামবাড়ার দুয়ার। উত্তরপূর্ব ভারতের সব থেকে বড় এই ইমামবাড়ায় দশ দিনই মানত ও পুজোপাঠের সুযোগ পান সাধারণ মানুষ। তারপর বন্ধ হয়ে যায় ইমামবাড়া। তবে প্রতি বৃহস্পতিবার দর্শকের জন্য খোলা হয় ইমামবাড়া। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সব রকম বিধিনিষেধ মেনেই মহরমের জৌলুস বের হচ্ছে লালবাগে।