ঝাড়গ্রাম: বিজেপি সাংসদের লিখিত আবেদন কাজে লাগল না! অসুস্থ তরুণের চিকিৎসায় সাহায্যের আশ্বাস দিলেন তৃণমূল বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা৷
চিকিৎসা না করিয়েই প্রায় দু মাস পর বেঙ্গালুরু থেকে ফিরে আসতে হল ক্যানসার আক্রান্ত তরুণ সুশান্ত বেজকে৷ মঙ্গলবারই সুশান্তের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা৷ আগামী দু-একদিনের মধ্যে কলকাতার হাসপাতালে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী৷
কয়েক মাস আগে ফুটবল খেলতে গিয়ে ডান পা ভাঙে লালগড়ের সিজুয়া গ্রামের সুশান্ত বেজের৷ কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে সঠিক চিকিৎসা করতে পারেনি পরিবার৷ এর ফলে, সেই ভাঙা পায়ে ক্যানসার হয়৷ পরে বাধ্য হয়ে ছেলের চিকিৎসার জন্য পরিবার প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে আবেদন করেন৷ পরে স্থানীয় সাংসদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে যেতে বলেন৷ সেখানে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার চিকিৎসা খরচ পাওয়া যাবে বলে সাংসদ আশ্বাস দেন৷ কিন্তু, প্রায় দু’মাস অপেক্ষা করেও সাহায্য মেলেনি৷ গত রবিবার অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে বেঙ্গালুরুর থেকে বাড়ি ফেরেন সুশান্তের বাবা রণজিৎ বেজ৷ তাঁর বক্তব্য, ‘আমি চাষ করি৷ তাই ছেলের চিকিৎসার জন্য সাংসদ কুনার হেমব্রমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে আবেদন করি৷ সাংসদ লিখিত কাগজ দিয়ে বেঙ্গালুরুর যেতে বলেন৷ কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি৷ প্রতিশ্রুতি মতো অর্থ সাহায্য না পেয়ে চিকিৎসা না করিয়েই অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হই।’ এ দিকে, যত দিন যাচ্ছে সুশান্তর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। এই ঘটনার কথা শুনে এ দিন তার সুশান্তদের বাড়িতে যান বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তিনি বলেন, ‘সুশান্তের পরিবারকে সব রকম সাহায্য করা হবে৷ আগামী দু’একদিনের মধ্যে সুশান্তকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে৷’
ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম বলেন, ‘সুশান্তের খোঁজ নেব৷ কেন তাঁরা ফিরে এল৷ তবে, যে হাসপাতালে চিকিৎসা হবে সেই হাসপাতালেই আর্থিক সহায়তা পাবে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের টাকা রোগী বা তাঁর পরিবারের হাতে দেওয়া হয় না।’