মণিপুর: মণিপুরে ধসে মোট ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সেনা বাহিনীর জোয়ান-সহ সাধারণ মানুষ। মৃতদের মধ্যে দার্জিলিঙয়ের ৯ জন জওয়ান রয়েছেন। একজন জলপাইগুড়ি ও সিকিমের জওয়ানও রয়েছেন। তাঁদের নাম মিলন তামাং, দিবাকর থাপা, বেঞ্জামিন রাই, মহম্মদ জাইরুল হক, মারকস গুরুং, শংকর ছেত্রী, বেধায়ন রাই, সীতারাম রাই,বিশাল ছেত্রী, লডুপ তামাং এবং শেরিং লেপচা। শনিবার বাগডোরা বিমানবন্দরে তাঁদের দেহ পৌঁছবে বলে জানান দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক। আগামীকাল দার্জিলিং জেলার নিহত ৯ জনের দেহর সঙ্গে জলপাইগুড়ির ও সিকিমের দেহও কাল বাগডোগরা এসে পৌঁছবে।শুক্রবার তাঁদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং নিহতদের পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করেন।
বুধবার গভীর রাতে মণিপুরের টুপুলে নির্মীয়মাণ রেল স্টেশনের কাছে ব্যাপক ধস নামে। সেখানেই কাজ করছিলেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর ১০৭ নম্নর ব্যাটেলিয়নের টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্যরা। ধসের কারণে আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন জওয়ান।
শুক্রবার পর্যন্ত ১৮ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। যার মধ্যে দার্জিলিঙয়েরই ৯ জন। ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও কয়েকজনের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্ধারকার চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং অসম রাইফেলসের জওয়ানরা। সেনা বাহিনীর এক কর্মকর্তার মতে, আবহাওয়াও খারাপ হওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Maoist Killed: ছত্তীসগঢ়ে পুলিসের গুলির লড়াইয়ে নিহত এক মাও নেতা
স্থানীয় প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, রেলকর্মী, এলাকার বাসিন্দা এবং জওয়ান মিলিয়ে প্রায় ৬০ জনের খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজদের মধ্যে বাংলারও কয়েকজন জওয়ান আছেন।