বাঁকুড়া: খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামিকে৷ বাঁকুড়ার সোনামুখী কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়কের নামে এই পোস্টারকে ঘিরে শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা৷ তৃণমূলের অভিযোগ, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে দিবাকর ঘরামিকে আর এলাকায় দেখতেই পাওয়া যায়নি৷ যদিও এই পোস্টার কাণ্ডের পিছনে তাদের হাত নেই বলেই জানান পাত্রসায়রের তৃণমূল নেতারা৷ অপরদিকে তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে দিবাকর ঘরামি বলেন, ‘নিজেদের দলে টানতে না পেরেই আমার নামে কুৎসা রটাচ্ছে তৃণমূল৷ ওরা (তৃণমূল) দেখতে না পেলেও এলাকার মানুষ আমাকে দেখতে পান৷’
আরও পড়ুন: ‘আমার ভালোবাসার দাম দাও’, পোস্টার হাতে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনায় যুবক
বাঁকুড়ার সোনামুখী কেন্দ্র থেকে জয়ী হন বিজেপির দিবাকর ঘরামি৷ তাঁর নামেই আজ সকালে পাত্রসায়র বাজারে ছয়লাপ হয় পোস্টারে৷ তাতে লেখা, ‘নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই দিবাকর ঘরামি নিখোঁজ৷ বিধায়কের খোঁজ পেলে জানাবেন৷’ এই পোস্টারগুলি নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতর শুরু হয়েছে৷ বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল পোস্টারগুলি সাঁটিয়েছে৷ অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বিজেপির বিভিন্ন গোষ্ঠীর ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে তৃণমূল৷ পাত্রসায়রের ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল৷ কিন্তু পোস্টারে সত্যি কথাই লেখা হয়েছে৷ ২রা মে-র পর থেকে বিজেপির জয়ী প্রার্থীকে এলাকায় দেখা যায়নি৷ এরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন৷ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২১৩টি আসন দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে কোনও ফ্যাক্টর নয়৷’
আরও পড়ুন: ৩০ টাকার টিকিট কেটে কোটিপতি, নিরাপত্তা চেয়ে থানায় রাজমিস্ত্রি
যাঁর নামে পোস্টার পড়েছে সেই দিবাকর ঘরামি প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, সোনামুখী বিধানসভা এলাকায় মানুষ যে তৃণমূলের সঙ্গে তার প্রমাণ হচ্ছে, ২০১৬-র বিধানসভা থেকে এপর্যন্ত সব ভোটে হেরেছেন৷ বিজেপির সঙ্গে মানুষ ছিল, আছে এবং থাকবে৷ তৃণমূল বিধায়ককে দেখতে না পেলেও এলাকার মানুষ দেখতে পান৷’ তাঁর অভিযোগ, এটা শাসক দলের চক্রান্ত৷ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে আমার পিছনে পড়ে রয়েছে ওরা৷ কী করে আমাকে তৃণমূলে যোগ করানো যায়৷ কিন্তু তাতে অসফল হয়েছে৷ আমি বিজেপির সঙ্গেই আছি৷ দিবাকর ঘরামির অভিযোগ শুনে হাসতে হাসতে দিলীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, হাসি ছাড়া আর কী বলব? ২১৩-র পর এখন সংখ্যাটা ২২০-র কাছাকাছি৷ এর পর দিবাকর ঘরামির মত নেতাকে দলে নেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷