নয়াদিল্লি: বীরভূম জেলার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের হিংসার ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্র। মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। রামপুরহাটের হিংসাকে ‘গণহত্যা’ বলে দাবি করে, কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের আর্জি নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরে যান সুকান্ত মজুমদার। রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয় রাজ্য বিজেপি সভাপতির। এই বৈঠকের পরেই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন শাহ।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেতে রাজ্যে যাতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়, সেই মর্মেও আর্জি জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তবে, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সরকারি ভাবে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
এ দিকে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রামপুরহাট হিংসার রিপোর্ট তলব করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে ‘হিংসার সংস্কৃতি’ চলছে বলে টুইটবার্তায় তিনি তোপ দাগেন। রামপুরহাটের ঘটনাকে ‘ভয়ানক হিংসা’ বলেও উল্লেখ করেন রাজ্যপাল।
MHA seeks a detailed report from West Bengal government over #Birbhum incident which claimed lives of eight people after houses were set on fire: Officials
— ANI (@ANI) March 22, 2022
রামপুরহাটে আগুনে পুড়ে আট জনের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। বিজেপি যদিও দাবি করে, মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। ১২ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এই ঘটনাকে গণহত্যা বলেও বিরোধী দলের নেতারা দাবি করেন। যদিও সরকারি ভাবে আট জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন বীরভূমের পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। এর মধ্যে সোনা ওরফে সঞ্জু শেখের পরিবারেরই সাত জন।
বিবার সন্ধ্যায় বোমা হামলায় নিহত হন রামপুরহাট ১ ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। তার জেরে রাত থেকেই উত্তেজনা ছিল বগটুই গ্রামে। গভীর রাতে কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। বেসকারি ভাবে ১০টি বাড়ি আগুনে পুড়েছে বলে দাবি করা হলেও পুলিস কিন্তু তিন-চারটি বাড়ি পোড়ার কথা বলছে।
আরও পড়ুন- Rampurhat Violence: ভাদুর দাদা খুনেও পুলিস কিছু করেনি, ক্ষোভ উগরে দিলেন সদ্য পুত্রহারা মা
এই ঘটনায় জল ইতিমধ্যে আদালতে গড়িয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপির লিগাল সেলের আইনজীবীরা গিয়েছেন। হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ তাঁরা দাবি করেন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিজেপি আইনজীবীদের আর্জির প্রেক্ষিতে মামলা করার সম্মতি দেয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে রামপুরহাট হিংসার তদন্ত কারানোর দাবিতেও পৃথক একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।