মেদিনীপুর: জেলার অবৈধ বালি খাদানগুলিতে পুলিশী অভিযান শুরু হয়েছে৷ অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন, চোরা চালান, অবৈধ পদ্ধতিতে বালি মজুতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই এই অভিযান। গ্রেফতারও করা হয়েছে অনেককে৷ সিসিটিভি ও পুলিশী নাকা নজরদারিও চালু হয়েছে অতিরিক্ত৷ এই অভিযানের বিরোধিতা করে মেদিনীপুর সদর ভূমি রাজস্ব দফতরে হাজির হলেন জেলার বিভিন্ন বালি খাদানের মালিকেরা ৷ তাদের দাবি, পুলিশ অবৈধতার অভিযোগ নিয়ে বৈধ খাদানেও অভিযান চালাচ্ছে৷ উপযুক্ত বৈধতা থাকলেও অবৈধ তকমা দেওয়া হচ্ছে। কাগজ না দেখে , না বুঝে সমস্যা তৈরী করছে পুলিশ৷ এই পরিস্থিতির সুরাহা না হলে লীজ আত্মসমর্পন করার কথাও জানায়৷
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে প্রায় ৯০ টির বেশি বালি খাদান রয়েছে৷ এই খাদান গুলির অনেকটা অংশ রয়েছে মেদিনীপুর সদরে কংসাবতী নদীতে৷ পুলিশের কড়াকড়ির কারণে নাজেহাল হচ্ছেন বৈধ মালিকেরা। এই সদরে থাকা বালি খাদান মালিকদের অনেকেই বুধবার হাজির হয়েছিলেন মেদিনীপুর শহরে৷ মেদিনীপুর সদর ভুমি রাজস্ব আধিকারিকের কাছে হাজির হয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পুলিশী কড়াকড়ি নিয়ে ৷ বৈঠক করা হয়েছে দফতরের আধিকরিকের সাথে৷ খাদান মালিকদের পক্ষ থেকে মণিদহ এলাকার খাদান মালিক দীপক পাত্র বলেন- আমি বৈধ কাদান মালিক ৷ কিন্ত কয়েকদিন আগে পুলিশ হটাত করে হানা দিয়ে অবৈধ খাদানের বিভিন্ন জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে ৷ মামলাও দিয়েছে ৷ কিন্তু সেখানকার মামলা পাশে থাকা আমার বৈধ খাদানের বিরুদ্ধেও দিয়েছে ৷ আমির সমস্ত বৈধতা থাকলেও পুলিশী জুলুম শুরু হয়েছে ৷ কার খাদানের কাগজ কেমন তাও জানেনা তারা ৷ তাই অভিযান হলে ভূমি দফতরকে সাথে নিয়ে অভিআন হোক৷ যারা কাগজ সমন্ধে বোঝে ৷
খাদান মালিকদের পক্ষ থেকে রাজেশ চক্রবর্তীর অভিযোগ–পুলিশী মিথ্যা অবৈধতার অভিযোগ আমরা নেবো না ৷ পুলিশের উর্ধ কর্তাদের কাছে অভিযোগ করেছি আমরা ৷ ভূমি দফতরের আধিকারিকদের সাথেও বৈঠক করে জানাচ্ছি ৷ পরিস্থিতি নিয়ে সদুত্তর না পেলে দু-একদিনের মধ্যেই আমরা লীজ আত্মসমর্পন করে দেবো ৷
তবে এবিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি জেলা প্রশাসন বা পুলিশ আধিকারিকরা ৷