বসিরহাট: মাটিয়া ধর্ষণ-কাণ্ডে (Matia Rape Case) অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। গত ২৩ মার্চ মাটিয়ায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে এক যুবক। এই ঘটনায় নাম জড়ায় মেয়েটির সম্পর্কিত এক পিসির। এরপরই ধর্ষণের মূল মাস্টারমাইন্ড অর্থাৎ নির্যাতিতার পিসি রোজিনা বিবি এবং তার প্রেমিক শহর আলি সর্দারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করে পুলিস। তাদের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফের আদালতে তোলা হয় তাদের। বসিরহাট মহকুমা আদালত ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে তাদের। ১৮ এপ্রিল আবার আদালতে তোলা হবে ওই দুজনকে।
ওই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। হাইকোর্ট অবশ্য পুলিসি তদন্তেই আস্থা রাখে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব জানিয়েছিলেন, তাঁরা বিষয়টির উপর লক্ষ্য রাখছেন। তাই আদালত বারবার পুলিসের রিপোর্ট তলব করছে। সেই রিপোর্টের উপর নজর রেখে আদালত মনে করছে, এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: SSC CBI: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দফতরে পৌঁছলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা
তবে আদালত বেশ কিছু নির্দেশ দেয়। কেস ডায়রি, তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট সহ মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে বলা হয়। পাশাপাশি নির্যাতিতা কিশোরীর উন্নতমানের চিকিৎসা এবং প্রবীণ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। আইনজীবীদের অভিযোগ ছিল, আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরীর সঙ্গে বাবা-মাকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। আদালত বলে, বাবা-মাকে অবশ্যই মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে।
এই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন পড়ে রাজ্যে। বিরোধী কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায়। এসএফআই নেতৃত্ব মাটিয়ায় গেলে পুলিসের সঙ্গে তাদের ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয়।