বর্ধমান: অবিরাম বৃষ্টিতে প্লাবিত রাজ্যের বহু এলাকা৷ হেক্টরের পর হেক্টর চাষের জমি জলের তলায়৷ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বহু ঘর-বাড়ি৷ গৃহহীন মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে৷ এই পরিস্থিতিতে জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রীদের বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই কালনায় মহকুমা শাসকের দফতরে জরুরি বৈঠকে বসেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী৷
আরও পড়ুন: বন্যায় মৃতদের পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা কেন্দ্রের
গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে ও দামোদর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় প্লাবিত হয়েছে বর্ধমানের চারটি নদী৷ কুনুর নদী, বাঁকা নদী, বেহুলা নদী ও খড়ি নদীর জল ঢুকে পড়েছে জনবসতি এলাকায়৷ তার জেরে প্লাবিত হয়ে পড়ে বহু গ্রাম৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হেক্টরের পর হেক্টর চাষের জমি৷ সরকারি তথ্য বলছে, কালনা মহকুমায় ৭০৯৯ হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মন্তেশ্বর ব্লক৷ সেখানে ৩৫৮৪ হেক্টর ধান চাষের জমি ও ১৭০০ হেক্টর সবজি চাষের জমি পুরোপুরি জলের তলায়৷ নিম্নচাপের অবিরাম বৃষ্টির জেরে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে ফসল৷ সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি৷ জলের তলায় ফসল নষ্টের আশঙ্কায় মাথায় হাত চাষিদের৷
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, শুক্রবার পর্যন্ত চলবে দুর্যোগ
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মন্তেশ্বরের ষোলটি বাড়ি৷ বর্ধমান যাওয়ার পথে শুশুনিয়া গ্রামের কাছে একটি ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ সব মিলিয়ে বলা যায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কালনা মহকুমার মন্তেশ্বর এলাকা৷ এদিকে বৈঠকের পর ঠিক হয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রিপল ও খাবারের ব্যবস্থা করে রাখা হবে৷ যাতে কোনও মানুষের অসুবিধা না হয়৷ এছাড়া যে সমস্ত মানুষের গবাদি পশু আছে তাদের উদ্ধার করে অন্যত্র পাঠানো৷ প্লাবিত এলাকায় নজরদারি চালাবে প্রশাসন৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, কোনওভাবেই যেন মানুষের অসুবিধা না হয়৷