মালদহ: অফিসের মধ্যে বসে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তৃণমূল সভানেত্রীর (TMC Leader) ছবি ভাইরাল । মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃণালিনী মণ্ডল মাইতির ছবি প্রকাশ্যে আসতেই উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি । ছবি ভাইরাল হওয়ার জেরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। ‘গত ১১ বছরে রাজ্যের সঙ্গে মালদহ জেলাকেও বারুদের স্তূপে উপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছে শাসক দল (WB Govt), ওদের অফিসে এটাই কালচার’, অভিযোগ বিজেপির (BJP)।
জেলার প্রথম সারির নেত্রীর আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল হওযায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ঘটনার তদন্ত করে দেখবে পুলিশ। পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা মালদহ মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি বারবার জড়িয়েছেন বিতর্কে। বিডিয়ো অফিসের মধ্যে সরকারি কর্মীকে মারধর থেকে শুরু করে একাধিক অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এবারে সরকারি অফিসের মধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তার ছবি ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে ।
জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘১১ বছরে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি মালদা কেউ বারুদের স্তূপে দাঁড় করিয়েছে শাসক দল। ওদের অফিসে এটাই কালচার। পিস্তল আছে, খুঁজলে বোম্ব পাওয়া যাবে, খুঁজলে একে ৪৭ পাওয়া যেতে পারে। এটা ওদের কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে । চাকরি চলে যাবে ভয়ে পুলিশ প্রশাসন চুপ চাপ আছে’, কটাক্ষ বিজেপি জেলা সভাপতির ।
আরও পড়ুন – এনআইএকে দিয়ে নোদাখালি বিস্ফোরণের তদন্ত চান শুভেন্দু অধিকারী
এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি চেয়ারে বসে এই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে খেলা করাটা সঠিক নয়। আগ্নেয়াস্ত্রটি খেলনা না আসল সেটা পুলিশ অনুসন্ধান করে বলবে। তবে আমি যেটা ছবিতে দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে এটা অরিজিনাল আগ্নেয়াস্ত্র । জনগণের কাছে এর ফলে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে বারবার মৃণালিনী মণ্ডল মাইতিকে ফোন করা হলেও তার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের নোদাখালিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনআইকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বারুদের স্তূপে বসে পশ্চিমবঙ্গ । এর মধ্যেই এই তৃণমূল সভানেত্রীর এই ভাইরাল ছবি নতুন করে বিতর্ক বাধাল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।