হরিণঘাটা: রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সৈকত মিত্রকেই বহাল রাখার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ সেই রায়ের কপি নিয়ে বৃহস্পতিবার কলেজে আসেন তিনি৷ কিন্তু নিজের ঘরে না গিয়ে চলে যান ভিজিটর রুমে৷ সেই সময় ভিসি চেম্বারে ছিলেন মলয়েন্দু সাহা৷ তাই এদিন প্রশাসনিক ভবনের ভিজিটর রুমে বসেই যাবতীয় কাজ করেন সৈকতবাবু৷ তিনি বলেন, ‘আদালতের রায় শোনার পরেও আমার চেম্বারে উনি বসে রয়েছেন৷ আমি তো জোর করে ঢুকতে পারি না৷ তাই ভিজিটর রুমে বসেই কাজ শুরু করি৷’
গত ১ অগস্ট রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সৈকত মিত্রকে অপসারণ করে সরকার৷ তাঁর জায়গায় বসানো হয় রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহাকে৷ ওই দিনই ম্যাকাউটের উপাচার্যের দায়িত্ব নেন তিনি৷ উপাচার্য বদল নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সেই সময় জানিয়েছিলেন, ২০০১ সালের উচ্চশিক্ষা দফতরের আইন অনুযায়ী রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মিত্রর পদের মেয়াদ ২৬ জুলাই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা৷ তাই কোনও ভাবেই তাঁর পদের মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব নয়। সেই কারণেই তাঁকে উপাচার্য পদ থেকে সরানো হয়েছে৷
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন সৈকত মিত্র৷ তিনি বলেন, উপাচার্য পদে এখনও তাঁর ২০২৫ সাল পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা৷ তা সত্ত্বেও তাঁকে যেভাবে অপসারিত করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন৷ হাইকোর্টের রায় সৈকত মিত্রের পক্ষেই যায়৷ আদালত জানিয়ে দেয়, ৩ সপ্তাহের মধ্যে উপাচার্য পদে যোগ দিতে পারবেন সৈকত মিত্র৷ তারপরই বৃহস্পতিবার রায়ের কপি নিয়ে কলেজে আসেন তিনি৷ তবে ঘরে ঢুকতে না পেরে একটু অসন্তুষ্ট হন৷ সৈকত মিত্র জানান, ঘর ফেরত না পেলে আদালতকে জানাব৷ যদিও এব্যাপারে মলয়েন্দু সাহার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷