পুরুলিয়া: ফের দেখা গেল চিতাবাঘের ছবি। রবিবার পুরুলিয়ার কোটশীলা বনাঞ্চলের সিমনি বিটের জাবর জঙ্গলে ধরা পড়ল চিতাবাঘের ছবি।। গত মাসের ২৭ ও ২৯ জুনের পর ফের বন দফতরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ল চিতাবাঘের ছবি।বন দফতর সূত্রে খবর, এটি মাদী বাঘের ছবি। আগের যে বাঘের ছবি পাওয়া গিয়েছিল, তার সঙ্গে এর কোনও মিল নেই। চেহারা খানিকটা লম্বা হওয়ায় এটি অন্য বাঘ বলে অনিমান বন দফতরের। তবে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বন দফতরের তরফে বাঘের পায়ের ছাপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি ট্র্যাপ ক্যামেরার ছবিতে কখনও একইসঙ্গে দুটি বাঘের ছবি ধরা পড়লে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বন দফতর সূত্রে খবর, চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি বন দফতরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় বাঘের হদিস পাওয়া যায় এই জঙ্গলে। তার ঠিক দুমাস পর ফের পাওয়া যেয় চিতাবাঘের ছবি। এমনকী গত বছর ডিসেম্বর মাসে এই জঙ্গলে গ্রামের এক মাহিলা কাঠ ও পাতা কুড়োতে গিয়ে নিজের চোখে বাঘ দেখতে পান। তবে মাহিলা বেঁচে ফিরেছেন। তারপর থেকেই গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে মাঝেমধ্যেই জঙ্গলে যাওয়া গবাদি পশু ফিরে আসছে না। প্রথমে গ্রামবাসীদের ধারণা হয় জঙ্গলে পথ ভুলে গভীর জঙ্গলে চলে গিয়েছে। গবাদি পশুর খোঁজ করতে গিয়ে বেশকিছু গবাদি পশুর হাড় দেখতে পায়। তখনই বন দফতরকে গোটা বিষয়টি জানায় গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: Denmark Shooting: কোপেনহাগেনের শপিং মলে বন্দুকবাজের হামলা, মৃত ৩
বন দফতরের তরফে জঙ্গলে যেতে নিষেধ করা হয় গ্রামবাসীদের। পাশাপাশি জঙ্গলে গরু চড়াতেও যায় না গ্রামবাসীরা। তারপরই বন দফতর ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগানোর ব্যাবস্থা করে। সেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে বাঘের ছবি। বন দফতর সূত্রে খবর, এই বাঘের শুধু বাংলা নয়, ঝাড়খন্ডে বোকারো জঙ্গলেও যাতায়াত রয়েছে। যেহেতু এই সিমনী পাহাড় ও বোকারর জঙ্গল লাগানো ফলে এখানেও যেমন দেখা গিয়েছে। এই ব্যাপারে ঝাড়খন্ডের বন দফতরের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করা হবে।