বালুরঘাট: কুমারগঞ্জে আদিবাসী মহিলার হত্যাকাণ্ডে পুলিসের দাবি মানতে নারাজ জেলা বিজেপির এসসিএসটি সেলের নেতারা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর পুলিস জানায়, ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়নি। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে তাঁর সৎ ভাই। গতকালই সৎ ভাই রবীন টুডুকে গ্রেফতার করে পুলিস৷ কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতেই সৎ ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সে আদৌ এই খুনের সঙ্গে জড়িত নয়। শনিবার দুপুরে বালুরঘাট শহরের এক সাংবাদিক বৈঠকে এই ভাষাতেই সরব হন তাঁরা।
বালুরঘাটের এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মালদহের হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু ও তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু। তাঁদের অভিযোগ, মৃতার পরিবারকে চাপ দিয়ে দেহ সৎকার করার চেষ্টা করেছে পুলিস। তাঁদের আরও দাবি, খুনি হিসেবে পুলিস যাকে ধরেছে সে একজন নাবালক। সামান্য কিছু টাকার জন্য মেরে ফেলার সাহস তার হবে না। তাই পুরো ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতেই এই পদক্ষেপ করেছে পুলিস। বিজেপি বিধায়কদের প্রশ্ন, যদি খুন করতেই হত তাহলে বাড়িতেই করতে পারত। অতদূরে নিয়ে গিয়ে কেনই বা খুন করবে সে। আসল দোষীকে আড়াল করতেই সৎ ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও দাবি তাঁদের। পুলিস ঠিক করে তদন্ত না করলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বিজেপি নেতারা।
যদিও বিজেপি বিধায়কদের এই দাবি খারিজ করে জেলা তৃণমুল সভাপতি উজ্জ্বল বসাক জানান, বিজেপি জনমানসে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করার জন্য পুলিসের দিকে এসব অভিযোগ তুলছে। নোংরা রাজনীতি করতে বিজেপি তৎপর বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের ফকিরগঞ্জ এলাকায় আদিবাসী বধূর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। গ্রামের কাছে এক জঙ্গলে দেহটি মেলে। মহিলার দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানায় পুলিস।