কাটোয়া: ভোলার দাদাগিরিতে আতঙ্কিত গ্রাম। এর আগে বহু জনকে যখম করলেও এবার প্রাণে মেরে ফেলল ভোলা।বারবার প্রশাসন কেউ জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি।
কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের মোস্তাপুর গ্রামে চার বছর ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একটি ষাঁড়। নাম ভোলা। মাঝে মাঝেই একে তাঁকে গুঁতিয়ে দেয় সে। এর আগে ভোলার গুঁতোয় জখম হন এক স্কুল শিক্ষক। তাঁর নাম সুপ্রভাত মণ্ডল। ভোলার গুঁতোয় সুপ্রভাত বাবুর পাঁজরের একটি হাড় ভেঙে গিয়েছিল । সেই থেকে প্রায় আট থেকে দশ জনকে যখম করে। তবুও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই।
মাঝখানে কয়েকমাস বন্ধ থাকলেও সোমবার মানুষ মারল ভোলা। মোস্তফাপুর গ্রামে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ৬৬ বছরের রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। পিছন থেকে এসে ভোলা তাঁকে ফেলে দেয়,। এরপর নিজের দুটো শিং তাঁর পেটের ডান দিকে ঢুকিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় রবীন্দ্রনাথ বাবু। মঙ্গলবার ওই ব্যক্তির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে।
আরও পড়ুন – দু’তলা বাড়ির কার্নিশ থেকে বিড়াল নামাল দমকল
ওই গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোলা ষাঁড় গ্রামের বহু বাসিন্দার খামারবাড়িতে, বাড়িতে ঢুকে সবাইকে গুঁতিয়ে জখম করছে। অনেকে আবার ওই ষাঁড় আটকাতে বাড়ির দরজায় শক্ত লোহার গেট তৈরি করে রেখেছেন। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন – বচসার জেরে কুকুরের বেল্ট দিয়ে স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী
গ্রামের প্রায় ১২ জনের বেশি বাসিন্দাকে গুঁতো মেরে জখম করেছে ওই ষাঁড়। ওই ষাঁড়ের কোনও ব্যক্তি মালিকানা নেই বলেই জানিয়েছেন বাসিন্দারা। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে গ্রামবাসীদের ঘরের বাইরে বেরোনো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে মনে মনে করছেন তাঁরা।