খেজুরি: খেজুরি তে বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত। রবিবার ভুবনেশ্বর থেকে রতন প্রামাণিক নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ-র আধিকারিকরা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল সে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভুবনেশ্বরে অভিযান চালায় এনআইএ। এর আগে সোমবার রাতে চণ্ডিপুরে এনআইএ ক্যাম্প থেকে তিন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিস্ফোরণের ঘটনায় এই নিয়ে মোট চার জনকে গ্রেফতার করল এনআইএ।
৩রা জানুয়ারি খেজুরি দক্ষিণের জনকা অঞ্চলের ১৯৫ নম্বর বুথে বোমা বিস্ফোরণ হয়। অভিযোগ, ওই এলাকায় বোমা বাঁধার সময় বোমা ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার পর আহত দুজনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা একজনকে মৃত ঘোষনা করেন। মৃতের নাম অনুপ দাস। ওই ঘটনায় তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে, ওই বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হওয়ার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এই তথ্য পরবর্তীকালে খারিজ করে দেওয়া হয়। সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানান। অবশেষে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় এনআইএকে।
আরও পড়ুন: Bengal Weather: বুধবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যে, মিলবে স্বস্তি
এনআইএ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে প্রায় ৫০ জন তৃণমূল নেতাকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই তালিকায় স্থানীয় হেভিওয়েট মন্ত্রিরাও ছিলেন। সোমবার রাতে তৃণমূলের নেতাসহ ২ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তাঁর মধ্যে ছিলেন তৃনমূল বুথ সভাপতি সমর শঙ্কর মণ্ডল। এছাড়াও দুই দাপুটে তৃণমূল কর্মী শহিদুল আলি খান এবং শেখ আরিফ বিল্লা। সোমবার বিকেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চন্ডিপুরে এএনআই ক্যাম্পে ডাকা হয়েছিল। তাদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় গ্রেফতার করা হয় তাদের।